Sagardighi

রেশনে কম আটা, গুলির হুমকি দিয়ে ধৃত ডিলার

অভিযোগ, প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ থামাতে তাঁর এক আত্মীয় তাঁর বাড়ি থেকে গুলি চালাবার হুমকি দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ঢিল পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাপ্যের চেয়ে রেশনে আটা কম দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সাগরদিঘির নওপাড়া গ্রামের এক রেশন ডিলার। অভিযোগ, প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ থামাতে তাঁর এক আত্মীয় তাঁর বাড়ি থেকে গুলি চালাবার হুমকি দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ঢিল পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। খবর পেয়ে খাদ্য দফতরের কর্তারা সাগরদিঘি থানায় খবর দেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরে খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে সাগরদিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিকেলেই। সাগরদিঘির রেশন ডিলার সংগঠনের তরফে মনসুর আলি বলেন, ‘‘বারবার করে ডিলারদের বলা হয়েছে, সরকার যা নির্দেশ বেঁধে দিয়েছে, তাই দিতে হবে রেশনে। যিনি তা দেননি, তাঁকে তার ফল ভুগতে হবে।’’

Advertisement

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই রেশন ডিলারকে খাদ্য দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

সাগরদিঘির বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নওপাড়া গ্রামের ওই রেশন দোকান থেকে নওপাড়া ছাড়াও বংশিয়া, ডাঙাপাড়া গ্রামের মানুষও রেশন দ্রব্য পান। বুধবার ওই রেশন দোকান থেকে রেশনে বিনা মূল্যের আটা বণ্টন করা হচ্ছিল। বিক্রি হচ্ছিল কেরোসিন তেলও। আটা দেওয়ার কথা জনপ্রতি ৯৫০ গ্রামের তিনটি করে প্যাকেট। কেরোসিন দেওয়ার কথা ৩০ টাকা লিটার দরে ৬০০ মিলিলিটার। নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও ইদানিং ওই রেশন ডিলার সপরিবারে থাকেন সাগরদিঘিতে। বুধবারও রেশন দোকান খুলে গোড়া থেকেই তিনি একটি করে প্যাকেট কম দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কয়েক জন গ্রাহক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে তা অগ্রাহ্য করে নিজের ইচ্ছে মতোই আটা বিলি করতে থাকেন ওই রেশন ডিলার। শিলা মাহারা বলেন, ‘‘একটি বড় ও একটি ছোট প্যাকেটের আটা পেয়েছি আমি। কিন্তু গ্রামেই শুনেছিলাম আমি তিনটি বড় প্যাকেটের আটা পাব। ডিলারবাবুকে তা বলি। কিন্তু তিনি বলেন ‘ওটাই এসেছে, ওটাই পাবি।’ আমার কথা কানেই তোলেননি তিনি।” সেবাস্টিন কিস্কু নামে আর এক গ্রাহক বলছেন, “দু’জন লোক বাড়িতে। বিনা মূল্যে বড় ৬ প্যাকেট আটা পাওয়ার কথা। কিন্তু দেওয়া হয়েছে ৩ প্যাকেট। প্রতিবাদ করেও শুনতে রাজি হননি ডিলার।” কেরোসিনের লিটারপ্রতি দামও বেশি নেওয়া হচ্ছিল। তাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। সাগরদিঘির বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আমি খাদ্য দফতরের অফিসারদের বলেছি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।’’ এরপরই জঙ্গিপুরের মহকুমা খাদ্য নিয়ামক ও এক পরিদর্শক সাগরদিঘি থানার পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়। সব ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement