রাসের প্রতিমা। নবদ্বীপ চারিচারা বাজারের মূর্তি। ছবি: প্রণব দেবনাথ
প্রায় একশো বাহকের সাঙে চেপে পথে নামতেন যোগনাথ তলার জোড়াবাঘ গৌরাঙ্গিনী মাতা। নবদ্বীপে রাসের একমাত্র সাঙের ঠাকুর। কিন্তু অতিমারি কালে এ বার স্থগিত থাকল সাঙের যাত্রা। তার বদলে একটি ছোট প্রতিমা গড়ে নিয়মরক্ষা করছেন পুজোর আয়োজকেরা।
গৌরাঙ্গিনী মাতার পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। কোভিডের কারণে এই প্রথম প্রচলিত ধারার বাইরে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে দুর্গা, কালী বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে ব্যতিক্রমী আঙ্গিকে এ বছর রাস পালিত হচ্ছে নবদ্বীপে।
কেউ মূর্তির বদলে ঘটে-পটে পুজো করছেন। কেউ আবার মানসিকের পুজো, বলিদান, দণ্ডী কাটা এ বছর নিষিদ্ধ করেছেন। ব্যাঞ্জো, ক্যাসিও, তাসা বাজানো হচ্ছে না কোথাও। আগের মতো ঢোল-সানাই কিংবা ডগরের আবহে এ যেন সম্পূর্ণ অচেনা রাস।
গাঁড়ালদের বিন্ধ্যবাসিনী প্রতিমার আয়োজকেরা ঘোষণা করেন, এবার তাঁরা ঘটে পুজো করবেন। একই সিদ্ধান্ত নেয় নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতি। নবদ্বীপের রাসে সবচেয়ে বেশি বলি এবং মানসিকের পুজো হয় তেঘরি পাড়ার বড়শ্যামা পুজোয়। সেখানকার আয়োজকেরা ঘোষণা করেছেন, এ বছর কোনও মানসিক পুজো, বলি হবে না। একই ভাবে ব্যাদড়া পাড়ার শবশিবা পুজো কমিটি ঘোষণা করেছে, তাদের মণ্ডপে ভক্তদের প্রবেশ এ বার নিষিদ্ধ। আগমেশ্বরী বাজারের সুপ্রাচীন মহিষমর্দিনী মাতা পুজো কমিটিও প্রবেশ সীমাবদ্ধ করছে। বউবাজার অন্নপূর্ণা মাতা কমিটির পনেরো ফুটের প্রতিমা কমিয়ে চারফুট করা হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই প্রতিমা নিরঞ্জন হবে না। সদ্যনির্মিত মন্দিরে সারাবছর তা পূজিত হবে।