বেগোপাড়ার বাড়িতে রানু। নিজস্ব চিত্র
অসমে অনুষ্ঠান করতে যাওয়া হল না রানু মারিয়া মণ্ডলের। সেখানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে ভাবে প্রতিবাদ-গণ্ডগোল শুরু হয়েছে, তার জেরেই ভেস্তে গিয়েছে রানুর সফর।
সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসে অসমে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গন্ডগোলের জন্য উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে মাত্র কয়েক মাসে দু’বার বিদেশ সফর সেরে ফেলেছেন রানু। অন্য রাজ্যে গিয়েছেন কয়েক বার। সামনে রয়েছে আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠান। ৫ জানুয়ারি কেরলে যাচ্ছেন তিনি। পর দিন সেখানে একটি সোনা বিপণীর উদ্বোধন করবেন।
রানাঘাটের বেগোপাড়ার বাড়িতে বসে রানু মারিয়া মণ্ডল বলেন, “বিদায় বছরটা ভালই গিয়েছে। এখন প্রভু জিশুর কাছে প্রার্থনা করছি, আগামী বছরটা যেন ভাল ভাবে কাটে। শুধু আমার নয়, সকলের যেন ভাল কাটে।” তিনি জানিয়েছেন, ভিন্রাজ্যে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হিন্দি গান গেয়েছেন। এর মাধ্যমে যতটা পেরেছেন, মানুষকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রানু এ দিন বলেন, ‘‘কোথাও অনুষ্ঠান করতে গেলে খুব আনন্দ হয়। সেখানে যাওয়ার সময়ে বাড়ি থেকে বার হওয়া মাত্র অনেকে কথা বলতে চান। তাঁদেরকে বেশি সময় দিতে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারব না। সময়ে অনুষ্ঠান করতে পারব না। সে দিকে নজর দিতে হয়। তবে বিমানবন্দরে কারও চোখ এড়ানো যায় না। আমি রানু মণ্ডল, বুঝতে পারলে ভিড় হতে শুরু হয়।”
রানাঘাট রেল স্টেশনে বেসে গান করতেন রানু মারিয়া মণ্ডল। গত ২৩ এপ্রিল তাঁর একটি গানের ভিডিয়ো ফেসবুকে ভাইরাল হয়। রানাঘাট রথতলার বাসিন্দা অতীন্দ্র চক্রবর্তীর রেকর্ড করা ভিডিয়োটি প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ শুনেছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে রানুর গান ছড়িয়ে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সকলের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন বছর ৬৫-র রানু।
রানুর বর্তমান ছায়াসঙ্গী তপন দাস বলেন, “গানের অনেক অফার আসছে। কিন্তু হিমেশজির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। ছবিটা রিলিজ় না করা পর্যন্ত অন্য কিছু করা যাচ্ছে না। আজ, শুক্রবার ছবি রিলিজ় হওয়ার কথা। সেটা হয়ে গেলে অন্য কিছু করতে অসুবিধা হবে না।”