ট্রেনে সাংসদ, শুনলেন নানা দাবি

সদ্য সাংসদ হওয়ার পরে শনিবার দিল্লি থেকে ফিরলেন জগন্নাথ সরকার। এ দিন সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসে শিয়ালদহে এসে নামেন। সেখান থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ আপ কৃষ্ণনগর লোকাল ধরেন কল্যাণীর বাড়িতে ফেরার জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০২:১৬
Share:

ট্রেনে সাংসদ। —নিজস্ব চিত্র।

শনিবারের বারবেলা না হলেও ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে দশটা ছুঁই ছুঁই। শিয়ালদহ থেকে ছাড়া আপ কৃষ্ণনগর লোকালের যাত্রীদের অনেকেই অবাক হয়েছিলেন তাঁদের সহযাত্রীকে দেখে। এই যাত্রীদের অধিকাংশই নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁরাও চেনেন সদ্য রানাঘাট লোকসভার সাংসদ হওয়া জগন্নাথ সরকারকে। এগিয়ে এলেন অনেকেই। খোসগল্পের মাঝেই যাত্রীরা কেউ কেউ নানা দাবির কথাও রাখলেন সাংসদের সামনে। কেউ জানালেন, রানাঘাট-গেদে শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। আবার অফিস টাইমে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুরের মতো শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাবও পেশ করে দিলেন কেউ কেউ। আবার শান্তিপুর কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেন চলাচল হলেও চলে ধীরগতিতে এবং তা বেশ সকালের দিকে চলে গোটা কয়েক। ১০টার পরে আর নেই। এ ছাড়াও কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ শাখায় ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি আজও। সে দিকেও নজর দেওয়ার কথা পেড়ে ফেললেন কেউ।

Advertisement

সদ্য সাংসদ হওয়ার পরে শনিবার দিল্লি থেকে ফিরলেন জগন্নাথ সরকার। এ দিন সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসে শিয়ালদহে এসে নামেন। সেখান থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ আপ কৃষ্ণনগর লোকাল ধরেন কল্যাণীর বাড়িতে ফেরার জন্য। সব মিলিয়ে মোটামুটি ঘণ্টা খানেকের যাত্রাপথ। এর মধ্যেই সহযাত্রীদের হাজার অনুরোধ শুনলেন তিনি। এলাকার সাংসদ, বিধায়ক বা অন্য জন প্রতিনিধিদের খুব একটা ট্রেনে সফর করতে দেখেন না এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে হাতের কাছে সাংসদকে পেয়ে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি কেউই। প্রত্যেকের দাবি, তাঁদের কথা সংসদে তুলে ধরুন বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে জানান। প্রত্যেকের কথা শুনে হাতের ডায়েরিতে নোট করে নিলেন সাংসদ। পরে জগন্নাথ বলেন, “ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী ফেরার উদ্দেশ্য একটাই ছিল যাতে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারি। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে পারি। তাঁরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি সংশ্লিষ্ট জায়াগায় কথা বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement