জাকির-গড়ে ফের অসন্তোষ দলে

সোমবার রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করা হয় মুক্তিপ্রসাদ ধরকে। নতুন সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতম ঘোষকে।

Advertisement

বিমান হাজরা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের গড়ে তৃণমূলে ফের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল।

Advertisement

শনিবার, রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের পঞ্চায়েত কর্তা, জেলা পরিষদ সদস্যরা বেলডাঙায় দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ডাক পেয়েও যোগ দিলেন না কেউই।

এর আগেও মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময়েও ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সব সদস্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ব্লকের অপসারিত সভাপতি মুক্তি ও মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ নিজেই। পরে ম্যাকেঞ্জি স্টেডিয়ামে দলের প্রকাশ্য সভাতেও মন্ত্রী জাকিরকে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কম অপদস্থ হতে হয়নি। তাঁর ভাষণে আপত্তি তুলে সাধারণ কর্মীরা উঠে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। এই নিয়ে তৃতীয় বার বিক্ষোভ দেখা গেল দলের মধ্যেই দলেরই মন্ত্রী জাকিরের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সোমবার রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করা হয় মুক্তিপ্রসাদ ধরকে। নতুন সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতম ঘোষকে। তারই প্রতিবাদে তিন দিন থেকে তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ চললেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। মঙ্গলবার এ নিয়ে ঘরোয়া সভায় একাধিক পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্য তৃণমূল ছাড়তে উদ্যোগী হন বলেও অভিযোগ।

শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন অপসারিত ব্লক সভাপতি মুক্তিপ্রসাদ। তাঁর অভিযোগ, “এই বদল ঘটেছে মন্ত্রী জাকির হোসেনের পরামর্শে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে মন্ত্রী দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন এটা এলাকার সকলেই জানেন। তবু এই কেন্দ্র থেকে ১৩,৩৩৯ ভোটে এগিয়ে দিয়েছি তৃণমূল প্রার্থীকে। এর পরেও হঠাৎ করে আমার জায়গায় অন্য এক জনকে সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে।’’

জেলা পরিষদ সদস্য ঝর্ণা দাস বলেন, “সভাধিপতিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি সভা বয়কটের কথা। রক্ত, ঘাম ঝরিয়ে দলের প্রার্থীকে জিতিয়ে তার এই প্রতিদান, সভাপতি পদ থেকে অপসারণ!’’ মন্ত্রী জাকির হোসেনের অবশ্য বক্তব্য, “সভাপতি বদল হয়েছে দলের নিজের নিয়মেই। কেউ যাবে কেউ আসবে। আজ আমি মন্ত্রী আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। মুক্তি ধর কী বলেছেন তা আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না।”

জঙ্গিপুরের তৃণমূলের মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ বলেন, “ব্লক সভাপতির অপসারণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে রঘুনাথগঞ্জে। তবে তার জন্য দল ছাড়ার কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে সকলকেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement