কৃষ্ণনগরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।
দলের মহিলা সংগঠনের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। যদিও কৃষ্ণনগর পুরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। তবে কৃষ্ণনগর ১ উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক ব্লকের দু’টি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন মহুয়া।
বৃহস্পতিবার দু’টি বৈঠকই কৃষ্ণনগরের কাছে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই একটি অংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কৃষ্ণনগর ১ ব্লকে দু’টি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা সত্বেও মহিলা সংগঠনের কর্মসূচিতে কেন উপস্থিত থাকলেন না দলের জেলা সভানেত্রী? বিশেষ করে যেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত? তা হলে কি তিনি সচেতন ভাবেই ওই কর্মসূচি এড়িয়ে গেলেন?
দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই এ দিন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার নেত্রীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জেলা নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে সমস্ত ব্লকের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নির্বাচনের আগে কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন চন্দ্রিমা। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে অনেক আগে থেকেই এই কর্মসূচির দিন ঠিক করা হয়েছিল। সেই মতই মহুয়া মৈত্রকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বৈঠক শেষে ব্লক স্তরের এক নেত্রী বলেন, “মহুয়া মৈত্র তো আগে থেকেই জানতেন যে এ দিন আমাদের সংগঠনের বৈঠক আছে। এমনকি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকবেন জেনেও তাঁর অনুপস্থিতি অনেকেরই চোখে লাগছে।”
এ দিন দুপুরেই কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের পোড়াগাছা ও ভাতজাংলায় দু’টি কর্মিসভা ছিল। দু’টি এলাকাই কৃষ্ণনগর শহর সংলগ্ন এলাকায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে সেই দু’টি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও মহুয়া কেন মহিলা সংগঠনের কর্মসূচিতে এলেন না?
বারবার চেষ্টা করেও মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায় নি। মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি তিনি। তবে মহিলা সংগঠনের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মল্লিকা চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “একই সময় দলেরই একটা অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় উনি আসতে পারেন নি।” এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক কল্লোল খাঁ। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।