গভর্নমেন্ট কলেজে যুযুধান টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠী

সোমবার এই দৃশ্যই দেখা গেল কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে চলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৩
Share:

গেট আটকে বিক্ষোভে টিএমসিপি। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

দু’দলেরই হাতে টিএমসিপি-র পতাকা। এক দল কলেজের ভিতরে ঢুকতে চাইছে, আর অন্য দল কিছুতেই তাদের ঢুকতে দেবে না। তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি, হুমকি, পাল্টা হুমকি।

Advertisement

সোমবার এই দৃশ্যই দেখা গেল কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে চলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আসেন জেলা পুলিশের কর্তারাও। এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়ে আসার অভিযোগ তোলে, অন্য পক্ষ বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছে।

কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে টিএমসিপি-র গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক বছরে দু’পক্ষের গন্ডগোলে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে কলেজ চত্বর। গুলি-বোমার চলারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর থেকে ভিতরে-ভিতরে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে।

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, টিএমসিপি-র একটি অংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এমনকি তারা এর আগেও তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু টিএমসিপি-র ছেলেরা তৈরি থাকায় আর জোরাজুরি করেনি। এ দিন তাদেরই একাংশকে দেখায় যায় টিএমসিপি-র ঝান্ডা নিয়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করছে।

টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিট সভাপতি সুজয় হালদারের দাবি, “যারা এসেছিল, তারা কেউই এখন টিএমসিপি করে না। ওরা বিজেপিতে চলে গিয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই শহরের এক বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে ওরা কলেজ দখলের পরিকল্পনা করছে। ওরা কেউই কিন্তু কলেজের বর্তমান ছাত্র নয়।”

বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বনমালী মোদক আবার দাবি করেন, ‘‘আমরা এখনও টিএমসিপি-ই করি। বর্তমানে কলেজের ছাত্রও। ওরাই বহিরাগত। ওরা কোনও ভাবেই চায় না যে আমরা কলেজে ঢুকি।” উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগও তুলেছে।

ছাত্রদের সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে গেটের বাইরে বেরিয়ে আসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শোভন নিয়োগী। তিনি বলেন, “কলেজে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তার জন্য ছাত্রদের কাছে আবেদন করলাম। কাজ না হলে আইনের পথে হাঁটতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement