কৃষ্ণনগর: বাসে চড়ে এসে মনোনয়ন জমা দিলেন নবদ্বীপ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা। শুক্রবার নবদ্বীপ থেকে তিনি বাসে চড়ে আসেন। কৃষ্ণনগরে এসে তিনি টুকটুকে চেপে জেলা শাসকের অফিসে এসে যান। সঙ্গে জনা চারেক সঙ্গী। চিনতে পেরে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরেন। এত দিন এলাকার মানুষ একাধিক গাড়ি, শয়ে শয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অন্যদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে দেখেছেন। আজ এমন সাদামাটা ভাবে জনা চারেক সঙ্গীকে নিয়ে প্রায় নীরবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যান। তা নিয়ে তাঁকে প্রশি করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই জেলা প্রশাসনিক এক সময় ভবনে চাকরি করতাম। তখন বাসে আসতাম। তাই আজও বাসে এলাম।’’ কিন্তু সঙ্গে তত কর্মীনেই কেন তার উত্তরে বলেন, ‘‘কর্মীরা তো ভোট করবেন নবদ্বীপে। মিছিল করবে সেখানে। এখানে তো তাঁদের কোনও প্রয়োজন নেই।’’
কালো ব্যাচ
কৃষ্ণনগর: কলকাতার বিবেকানন্দ রোডে নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে ২১ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে শুক্রবার কালো ব্যাচ পড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কালীগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী হাসানুজ্জামান শেখ। হাতে গোনা জনা কয়েক কর্মী সমর্থককে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। তিনি জানান, যে ভাবে নিরীহ মানুষ উড়ালপুল চাপা পড়ে মারা গেল তাতে আজ শোক প্রকাশের দিন। হই হই করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন নয়। একই ভাবে এ দিন বিজেপির কৃষ্ণনগর (উত্তর), কৃষ্ণনগর (দক্ষিণ) ও চাপড়া কেন্দ্রর তিন প্রার্থী মৌন মিছিল করে এসে মনোনয়ন জমা দিয়ে যান।
ভরসা মানুষে
রানাঘাট: মনোনয়ন জমা দিলেন শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে। শুক্রবার দুপুরে রানাঘাট মহকুমার শাসকের কার্যালয়ে ওই বিধানসভার নির্বাচনী আধিকারিক সুরেশ চন্দ্র রানোর কাছে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রের কংগ্রেসের অরিন্দম ভট্টাচার্যও মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে অজয়বাবু বলেন, ‘‘জোটে ভয়ে নেই। মানুষের উপর ভরসা আছে। তাঁরা এ বারও আমাকে আরও বেশি ভোটে নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখাই আমার মূল উদ্দেশ্য।’’
ওয়ার্মআপ
রানাঘাট: মনোনয়ন জমা দেননি। অথচ শুক্রবার দুপুরেই রানাঘাট মহকুমার শাসকের কার্যালয়ের পাশে আদালত চত্বরে রানাঘাট উত্তর পূর্বের প্রার্থী নিখিলরঞ্জন সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী সুস্মিতরঞ্জন হালদার, শান্তিপুরের প্রার্থী স্বপনকুমার দাম-সহ কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। আগের দিন কী কারণে ঘোরাঘুরি? পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মী বলেন, ‘‘আগামী কাল আসতে হবে তো, তাই আজ ওয়ার্মআপ চলছে।’’