ফাইল চিত্র।
গত রবিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্নাতক স্তরের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমেস্টারের পরীক্ষা ‘ব্লেন্ডেড মোড’-এ নেওয়া হবে। অর্থাৎ, থিয়োরি বা লেখা পরীক্ষা অনলাইনে এবং প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা অফলাইনে নেওয়া হবে। এখন স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বেশির ভাগ শিক্ষকেরই মত, স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পুরোটাই অফলাইনেই হোক। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানসকুমার সান্যাল রবিবারই বলেছিলেন, “স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে মোট ৩৬টি বিভাগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১২টি কলেজে স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। এই স্তরের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে হবে। পরীক্ষা ২০ দিন এগিয়ে এসেছে।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের অফলাইনে ক্লাস শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ অধ্যাপকদের ব্যক্তিগত মতামত, স্নাতকোত্তর স্তরের দুই সেমেস্টারের পরীক্ষা অফলাইনেই হোক। কারণ, নতুন সেশনের ক্লাস এবং ল্যাবরেটরি— দু’টোই অফলাইনে শুরু হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার বিভাগীয় প্রধান প্রবীর প্রামাণিক বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত, স্নাতকোত্তর স্তরে পরীক্ষা অফলাইনেই হোক।” শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান দেবযানী গুহ-র মত, “রবিবার রাতে আমরা বিভাগীয় বৈঠক করেছি। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কতটা পড়া শেষ করতে পারা গেল সেই দেখেই সিদ্ধান্ত নেব। ছাত্রদের স্বার্থটাও দেখতে হবে।”
‘মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বিভাগের অধ্যাপক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত, অফলাইনেই পরীক্ষা হোক।” ভিসুয়াল আর্টসের বিভাগীয় প্রধান রীতেন্দ্র রায়ের কথায়, “এখনও সময় আছে। এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”