ফলের দোকানে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
করোনাকে প্রতিহত করতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। চিকিৎসকেরাও বলছেন, করোনাকে প্রতিহত করতে বাড়াতে হবে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাতে ভিটামিন সি, জিঙ্কের মতো উপাদান আবশ্যক। ফলে লেবু, আনারসের ফল খাওয়ারও নিদান দিচ্ছেন অধিকাংশ চিকিৎসক। ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফলের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। বিশেষ করে চাহিদা বেড়েছে ভিটামিন সি যুক্ত ফলের। অনেক সচেতন ক্রেতাই ফলের দোকানে এসে আগেই কিনছেন মোসাম্বি, আনারস। খোঁজ নিচ্ছেন আমলা বা আমলকী পাওয়া যাবে কি-না। অনেক সাধারণ মানুষ, এমনকি অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষেরাও স্রেফ লোকমুখে শুনে করোনার দাওয়াই হিসেবে হাটে-বাজারে আসছেন লেবু কিনতে।
ফলে এক ধাক্কায় চাহিদা বেড়েছে পাতি লেবু থেকে মোসাম্বি, আঙুর, আনারসের মতো ফলের। দামও বেড়েছে অনেকটাই। মাস খানেক আগেও যে সাইজের মুসাম্বির দাম ছিল ৭-৮ টাকা এখন সেই মোসাম্বি বিকোচ্ছে ১২-১৫ টাকায়। ২৫-৩০ টাকার আনারসের দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। ১৫০ টাকা কেজি আঙুরের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। তবে এলাকায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম বাড়েনি পাতিলেবুর। ফল বিক্রেতারা বলছেন লকডাউনের বাজারে জোগান কিছুটা হলেও কমেছে। অন্যদিকে চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ফলে দাম বেড়েছে ফলের।
হরিহরপাড়ার বাসিন্দা হাপিজুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘শুনছি ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলে নাকি করোনা হবে না। ডাক্তারেও খেতে বলছেন। কিন্তু ফলের দাম খুব বেশি।’’
হরিহরপাড়া বাজার এলাকার ফল বিক্রেতারা আব্দুল আলিম বলছেন, ‘‘বেশ কিছু দিন থেকেই দেখছি মুসাম্বি, আনারস, আঙুরের চাহিদা বেড়েছে। এ বছর লকডাউনের কারণে চাহিদার তুলনায় অনেকটাই জোগান কম। ফলে বাড়তি দাম দিয়েই কিনছি, বাড়তি দামে বিক্রিও করছি।’’
হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক মুহাম্মদ সাফি বলছেন, ‘‘করোনা আবহে আমরা বেশি করে লেবুজল, ভিটামিন বিশেষ করে ভিটামিন সি, জিঙ্ক আছে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’’ ফলে কেউ লোকমুখে শুনে, কেউ আবার সচেতন ভাবেই লেবু, আনারস, আঙুর বা অন্যান্য ফলের দিকে ঝুঁকছেন।