বীরেনের শাড়িতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বের দীর্ঘতম শাড়ি তৈরি করে গিনিস বুকে নাম তুলেছিলেন তিনি। পদ্মশ্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত সেই শিল্পী বীরেন বসাক তাঁর তৈরি জামদানি শাড়িতে ফুটিয়ে তুললেন দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মুখাবয়ব।
কিশোর বয়স থেকেই হস্তচালিত তাঁতের প্রতি তাঁর ঝোঁক। দেশভাগের সময় ১৯৫১ সালে ওপার বাংলার টাঙ্গাইল থেকে এসে শান্তিপুরে বসাকপাড়ায় বসতি গড়েছিলেন বীরেন। তাঁতশিল্পী থেকে অসামান্য কর্মদক্ষতায় পরিণত হয়েছেন সফল ব্যবসায়ীতে। এখন তাঁর তত্ত্বাবধানে পাঁচ শতাধিক হস্তশালিত তাঁতশিল্পী কাজ করেন।
এর আগে বীরেন দেশের কয়েক জন বরেণ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবয়ব তাঁর তৈরি শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘টানা-পড়েনের’ সুতোয়। এ বার তাঁর সৃষ্টি নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির মুখবয়ব। এ বিষয়ে তিনি জানান, এ কাজ তার তত্ত্বাবধানে তিন জন শিল্পী করেছেন। বলেন, ‘‘বাংলার সমস্ত হস্তচালিত তাঁতশিল্পীদের পক্ষ থেকে আগামিদিনে এই শাড়ি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।’’
বীরেন জানান, ৭ অগস্ট দিল্লিতে তাঁর একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ আছে। সেখানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতিরও। সেই মঞ্চে দ্রৌপদী মূর্মুর হতে তুলে দিতে চান তাঁর সৃষ্টি । তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জন্য দ্রৌপদীর মুর্মুর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকেই এই কাজ শুরু করেছিলাম আমি।’’