প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে জেলার দক্ষিণে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। উত্তরেও কোনও কোনও এলাকায় তৃণমূলকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটেও সেই ধারা বজায় রাখতে তৎপর বিজেপি। আজ, রবিবার বিগ্রেডে সমাবেশ রয়েছে। জেলা থেকে যতটা সম্ভব লোক নিয়ে গিয়ে সেই ধারাকে আরও পুষ্ট করতে মরিয়া বিজেপি নেতারা।
একুশের লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়ছে সব দলই। তৃণমূলের তরফে শুক্রবারই ঘোষণা হয়ে গেছে দলীয় প্রার্থীদের নাম। তারা নেমে পড়েছে প্রচারে। শনিবার প্রথম দু’ফার নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপিও। তবে নদিয়া জেলার ভোট অনেক পরে হওয়ায় জেলার প্রার্থীদের নাম জানা যায়নি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তবে দেওয়াল লিখনের কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখেও অনেকটা সেই কাজ হয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা সমাবেশে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র যেমন তুলে দিয়েছেন, তেমনি তাঁদের কাছ থেকে মতামতও নিয়েছেন। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ এ ভাবে সমাবেশকে সামনে রেখে জনসংযোগের কাজও করেছে গেরুয়া শিবির। সমাবেশে জেলা থেকে ভাল সংখ্যায় জমায়েতের লক্ষ্যও নিচ্ছে তারা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা থেকে ট্রেন, বাসের পাশাপাশি নানা ছোট গাড়িও থাকবে। জেলার দক্ষিণে লোকসভা ভোটের ফল অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করেছে বিজেপিকে। তৃণমূলের বড় ভাঙন হয়েছে জেলার এই প্রান্তেই। বিজেপি নেতাদের দাবি, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোক ব্রিগেড সমাবেশে যাবেন। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “বাস, ট্রেন সব রকম ভাবেই আমাদের জেলা থেকে প্রচুর সংখ্যায় মানুষ যাবেন। সে ভাবেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার এই দক্ষিণ প্রান্তে ট্রেনের সুবিধা রয়েছে। কাজেই এখান থেকে বহু কর্মী-সমর্থক ট্রেনে যাবেন বলেই আবার যে সব এলাকা থেকে রেলপথ অনেকটাই দূরে সেখান থেকে বাসের ব্যবস্থা হচ্ছে। যেমন শান্তিপুর শহরের দু’টি মণ্ডল থেকেই ট্রেনে যাবেন কর্মী সমর্থকেরা। কৃষ্ণনগর শহর থেকেও বেশির ভাগ ট্রেনেই যাবেন। আবার গ্রামীণ শান্তিপুরের ক্ষেত্রে যে সমস্ত এলাকা স্টেশন থেকে দূরে সেখানকার জন্য বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ফুলিয়া বা শান্তিপুর স্টেশনের কাছাকাছি এলাকা থেকে লোকজন ট্রেনে যাবেন। রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুর, রামনগর ২ পঞ্চায়েতের মতো এলাকা থেকে ট্রেনে যাওয়ারই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার ন’পাড়া এলাকা থেকে অনেকেই যাবেন বাসে। আবার ন’পাড়া এলাকা থেকে ঘাট পার হয়ে পাশের হুগলি জেলার বলাগড়ের মতো জায়গা থেকে ট্রেন ধরেও কেউ কেউ যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু ছোট গাড়ি রাখা হচ্ছে কয়েক জায়গায়, দূরের এলাকা থেকে কাছাকাছি স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। নানা জায়গায় দলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই শুকনো খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেন, “প্রচুর মানুষ আগ্রহী। তাই অনেক বাস প্রয়োজন। কিন্তু এত বাস পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রেনেও যাবেন বহু মানুষ। মানুষ এই ব্যাপক জমায়েত করে তৃণমূলকে বার্তা দেবেন।”