Arup Biswas

তিন ঘণ্টায় ভাঙা ঘরে বিদ্যুতের আলো! পথবাতির নীচে ছবি আঁকা ছোট্ট প্রিয়ঙ্কার পাশে বিদ্যুৎমন্ত্রী

নবদ্বীপে পথবাতির নীচে বসে ছবি আঁকা ছোট্ট প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিলেন কর্মীরা। তদারকিতে আগাগোড়া রইলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৬
Share:

পথবাতির নীচে বসে ছবি আঁকছে ছোট্ট প্রিয়ঙ্কা। — নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যুতের আলোবিহীন ঝুপড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তার বাতিস্তম্ভের নীচে খাতা আর রংপেনসিলে আঁকিবুকি কেটে চলেছে শিশুটি। পাশে বসে মূক এবং বধির মা। ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। খবর পৌঁছয় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছেও। তিন ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীর উদ্যোগে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলল। নিজের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো দেখে মহা খুশি খুদে। হাতজোড় করে মন্ত্রীকে প্রণাম জানান মা।

Advertisement

ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের। বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় রাস্তার বাতিস্তম্ভের নীচে বসে আঁকার খাতায় আঁকিবুকি শুরু করে ১০ বছরের প্রিয়ঙ্কা ঘোষ। মা মুখ-বধির, বাবা দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। তাই ইচ্ছে থাকলেও স্কুলে ভর্তি হওয়া হয়নি। অগত্যা আঁকার খাতা নিয়ে বাতিস্তম্ভের নীচে আঁকিবুকি কাটা শুরু। রাস্তার আলোর তলায় বসে প্রিয়ঙ্কা একমনে ছবি আঁকছে, সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। খবর পৌঁছে যায় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছেও। ছোট্ট প্রিয়ঙ্কাকে আলো দেখানোর উদ্যোগ নেন মন্ত্রী নিজে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপের নির্দেশে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেলা বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা ছুটে যান প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎকর্মীরা কাজ করে প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ এনে দেন। ফোনের উল্টো দিক থেকে সর্বক্ষণ তদারকিতে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ। মন্ত্রীর এ হেন তৎপরতায় খুশি এলাকাবাসী। ছোট্ট প্রিয়ঙ্কাকে আলো দিতে পেরে খুশি মন্ত্রীও। অরূপ বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্যেই তো মা-মাটি-মানুষের সরকার। তাঁরা অন্ধকারে থাকবেন, এটা হতেই পারে না। এ রকম কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা থাকলে আপনারা জানাবেন, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেব।’’ বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে দেখে ছোট্ট মুখে খুশি আর ধরে না প্রিয়াঙ্কার! বসতে হবে না রাস্তার আলোর নীচে, এ বার ঘরে বসেই ছবি আঁকতে পারবে সে। আঁকার খাতা থেকে এক মুহূর্তের জন্য মুখ তুলে ছোট্ট প্রিয়ঙ্কা বলে ওঠে, ‘‘বাড়িতে আলো যিনি এনে দিয়েছেন, তিনি যদি আমার স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থাও করে দেন…!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement