প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রেস্তরাঁয় খাওয়ার পর অনেকেই মুখশুদ্ধি খান। মিছরি-মৌরি বা পানমশলা, কিছু একটা মুখে দিয়ে রেস্তোরাঁ ছাড়ার অভ্যাস কমবেশি সকলেরই। কিন্তু সেই মুখশুদ্ধিই যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, তা বুঝতে পারেননি রেস্তরাঁয় খেতে আসা পাঁচ জন। গুরুগ্রামের এক রেস্তরাঁয় খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাঁরা। শুরু হয় রক্তবমি। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুগ্রামের সেক্টর ৯০-এর একটি নামকরা রেস্তরাঁতে স্ত্রী এবং বন্ধুদের নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন অমিত কুমার নামে এক ব্যক্তি। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করার পর বিল মিটিয়ে রেস্তরাঁ ছাড়ার আগে মুখশুদ্ধি নেন পাঁচ জনই। অভিযোগ, মুখশুদ্ধি চিবোনোর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ জ্বলতে শুরু করে। বমিও শুরু হয়। বমির সঙ্গে রক্তও বার হয়।
অমিতের অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁয় খেতে আসা অনেকেরই মুখ জ্বালা এবং বমি হয়। কিন্তু রেস্তরাঁর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই তাঁরাই পুলিশকে ফোন করে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অমিতের অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ওই মুখশুদ্ধিতে কী এমন ছিল, যার জন্য এমন প্রতিক্রিয়া হল গ্রাহকদের? অমিতের কথায়, ‘‘আমি ওই মুখশুদ্ধির প্যাকেটটি এক জন ডাক্তারকে দিয়েছিলাম পরীক্ষা করার জন্য। তিনি জানিয়েছেন ওই প্যাকেটে শুকনো বরফ ছিল। ডাক্তারের মতে, এটি এক ধরনের অ্যাসিড। যা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।’’ গুরুগ্রামের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগকারীর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই রেস্তরাঁর থেকে মুখশুদ্ধি সংগ্রহ করে পরীক্ষার করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।