পোস্টঅফিসের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ছিল। এ বার বেলডাঙার সাব-পোস্টঅফিসের কর্মীদের বিরুদ্ধে সরাসরি দুনীর্তির লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল। বেলডাঙার পোস্টাল এজেন্টরা জেলা দফতরে লিখিত অভিযোগে জানান, বেলডাঙার পোস্টঅফিসের স্থায়ী চার জন কর্মী, একজন পোস্টাল এজেন্টের সাহায্যে অসাধু উপায়ে আয় করছে। কোনও গ্রাহক স্থায়ী প্রকল্পে টাকা জমা করতে গেলে সে সরাসরি পোস্ট অফিসে গিয়ে সেই প্রকল্পে টাকা জমা করতে পারে। কিন্তু তা না করে ‘থ্রু এজেন্টে’ বলে সেই জমা করা হচ্ছে। তাতে এজেন্টকে কমিশন দিতে হচ্ছে সরকারকে। কিন্তু তা না করে সরাসরিও এই কাজ করা যায়। কিন্তু নিদির্ষ্ট একজন পোস্টাল এজেন্টের মাধ্যমে সেকাজ করে বাড়তি টাকা আয় করছে দফতরের কর্মীরা। যা বেআইনি। সেই বাড়তি কমিশন নিদির্ষ্ট এজেন্টকে কিছুটা দিয়ে বাকিটা ভাগ করে নিচ্ছেন কর্মীরা।
অভিযোগকারীদের মধ্যে শঙ্খভঞ্জন সাহা, উদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়েরা জানান, কোনও কিসান বিকাশ পত্র বা এমআইএস নিয়ে গেলে পোস্টাল কর্মীরা বলেন, ওটা হবে না। কিন্তু পরে নিদির্ষ্ট এজেন্ট মারফত সেই কাজ সেই দিনই হয়ে যায়। এই ঘটনা বছরের পর বছর চলছে। কেউ সরাসরি করতে গেলে সেই আবেদন পত্র নিয়ে ‘থ্রু এজেন্টে’ লিখে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বলে টানা চার মাস তাঁদের কাজ বন্ধ আছে। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম চাইতে গেলে সেটাও দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
এই বিষয়ে সদর মহকুমা ডাক নিরীক্ষক রবীন্দ্রনাথ মুর্মু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।’’