জওয়ান দেখতে ভিড় শাহরুখ ভক্তদের। বহরমপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহে। —নিজস্ব চিত্র।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা ‘জওয়ান’। প্রথম দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন সিনেমা হলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। যুবক-যুবতীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বহরমপুর মোহন টকিজের ম্যানেজার অর্ণব সিংহ বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে প্রতিটি শো হাউসফুল হচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত সমস্ত শো’য়ের টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গিয়েছে। উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।’’ ওই সিনেমা হলে দু'টি স্ক্রিন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে শো। দু'টি স্ক্রিনে দশটি করে শো হাউসফুল হচ্ছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের। সাধারণত আটটি করে শো' দেখানো হলে 'জওয়ান' দেখানো হচ্ছে দশটি শো। একই অবস্থা বহরমপুর সিলভার স্ক্রিনেরও। জিয়াগঞ্জের মহাবীর জৈন প্রেক্ষাগৃহেও প্রতিদিন তিনটি করে শো চলছে। সেখানেও প্রতিটি শো হাউসফুল হচ্ছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত প্রতিটি শো'য়ের টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে পেক্ষাগৃহে মালিকেরা জানিয়েছেন।
সিনেমা হল মালিকদের একাংশের দাবি, দর্শকের অভাবে গত প্রায় এক দশকে বহরমপুর, হরিহরপাড়া, বেলডাঙা, আমতল, কান্দি, জলঙ্গি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ। সেখানে জওয়ান ব্যবসা দেওয়ায় খুশি হল মালিকেরা।
বিক্রম বাকলিওয়াল নামে এক ডিস্ট্রিবিউটর বলেন, ‘‘রবিবার পর্যন্ত সমস্ত টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সোমবার, মঙ্গলবার বারের টিকিটও ছাড়া হয়েছে। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে, প্রতিটি শো হাউসফুল হচ্ছে।’’ সিনেমা হলে ১২০ টাকা, মাল্টিপ্লেক্সে ১৮০ টাকা থেকে সর্বাধিক ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে টিকিট।
বাংলা সিনেমা দোস্তোজী-র নির্মাতা প্রসূন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইন্টারনেট মোবাইলে যুগে প্রোক্ষাগৃহে দর্শকদের ভিড় শুধু বড় পর্দায় সিনেমা দেখা নয়। এই ভিড় সামাজিক বন্ধন তৈরি করছে। ইন্ডাস্ট্রির কাছে বড় প্রাপ্তি।’’ বাংলা সিনেমার অপর পরিচালক মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আতিউল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ভিড় করছে, এটা খুশির খবর। ভাল সিনেমা দর্শকদের টানবে, এটা স্বাভাবিক।’’