রবিবার বিকেলে বহরমপুরের হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয় কংগ্রেস নেতাকে। —নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য মহম্মদ জহরের। তিনি দলের মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। বয়স হয়েছিল সাতান্ন বছর। সোমবার এসএসকেএমে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
জহরের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রশাসন। তাই একে খুন বলাই ভাল।’’ অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যু দুঃখজনক। তাঁদের কটাক্ষ, সব কিছুতে রাজনীতি খোঁজা অধীরদের অভ্যাস।
জহরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন জহর। প্রথমে বহরমপুরের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। ২৮ অক্টোবর রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। ক্রমে শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রবিবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা উত্তরোত্তর কমতে থাকে। এর পর সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর।
দলের নেতার মৃত্যু প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারের ব্যর্থতাই জহরের প্রাণ কেড়ে নিল। মৃত্যু না বলে একে খুন বলা ভাল। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর চূড়ান্ত ব্যর্থ।’’ বিজেপির পক্ষে বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, ‘‘এক জন সহনাগরিকের মৃত্যু হল। প্রশাসনিক উদাসীনতার উদাহরণ। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।’’
অন্য দিকে তৃণমূল জেলা মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরীর মতো সব কিছুতে রাজনীতি আনতে পারব না। দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জহরের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।’’