মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের উপর বোমা ছোড়ার ঘটনায় নদিয়ার কালীগঞ্জের মোলান্দি থেকে গ্রেফতার করা হল আরও ২ জনকে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। এই নিয়ে ওই কাণ্ডে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ। ওই ঘটনার পর দিন অর্থাৎ বুধবার মোলান্দি গ্রাম থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বোমা। এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে। তাতে ধরা পড়ে ওই বোমার অস্তিত্ব। বিপত্তি এড়াতে নয়া কায়দায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই বোমা। পুলিশ সেই অস্ত্রভান্ডারের খোঁজ পেয়েছে। সোমবার রাতে পুলিশের উপর বোমা ছোড়ার ঘটনার পর থেকে থমথমে মোলান্দি।
বুধবার গ্রাম জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সঙ্গে ছিল বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড। সেই তল্লাশিতে জমি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বোমা। ওই বোমাগুলি প্লাস্টিকের জারে ভর্তি করে মাটিতে পোঁতা ছিল যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে। ওই এলাকায় আরও বোমা মজুত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই কারণে বুধবার মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় এলাকায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় রয়েছে চাপা আতঙ্ক। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড ছিল। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে গোটা এলাকা তল্লাশি করে দেখা হয় আর কোথাও বোমা আছে কি না।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে মোলান্দি এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের সংঘর্ষ চলছিল। একাধিক বার ওই এলাকায় বোমাবাজিও হয়। গত বছর বোমাবাজির জেরে আনোয়ার সেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। সেই ঘটনায় পুলিশ মামলা শুরু করে। সোমবার রাতে ওই এলাকায় সাদ্দাম শেখ নামে এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়েছিলেন কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত মীরা ফাঁড়ির ইনচার্জ কৌশিক বিশ্বাস-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ সেই সময় তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছেড়ে দুষ্কৃতীরা। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আরও পুলিশ বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। তাঁদেরও বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জখম হন ওসি-সহ ৫ পুলিশকর্মী। এর পর এলাকায় শুরু হয় ধরপাকড়।