মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রতি বছর বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতেই দর্শনার্থীরা বেশি ভিড় করেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় দর্শনার্থীরা মণ্ডপে লাইন দিয়ে রাতভর প্রতিমা দর্শন করেন। গত কয়েক বছর ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে লটারির টিকিট বা কুপন কেটে ভিআইপি গেট দিয়ে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভও রয়েছে। তা আঁচ করেই গত বছর জেলা পুলিশ ভিআইপি প্রবেশপথ বা টিকিট-কুপন কেটে পুজো দেখা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিল। তবে তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিআইপি প্রবেশপথ রাখার বিরোধী বলে মনোভাব স্পষ্ট করায় এ বার পুলিশ এ নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে পারে বলে খবর।
বহরমপুরের বাসিন্দা বাপ্পা সরকার বলেন, ‘‘বিগ বাজেটের বেশ কিছু পুজো মণ্ডপে ২০-৫০ টাকার কুপন কেটে বা লটারির টিকিট কাটলে ভিআইপি প্রবেশপথ দিয়ে মণ্ডপ দর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। আর সাধারণ লাইনে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিড় দেখিয়ে কুপন বা লটারির টিকিট কাটতে কার্যত বাধ্য করা হয়। এই কুপন বা টিকিট প্রথা বন্ধ হওয়া দরকার।’’
বহরমপুর লাগোয়া মুর্শিদাবাদ থানার চুনাখালি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক কাঞ্চন মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ ও প্রশাসনের নির্দেশে গত বছর থেকে আমরা কুপন বিক্রি বা ভিআইপি প্রবেশপথ রাখছি না। এ বারও তা-ই করা হবে।’’ তাঁর আবেদন, ‘‘পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, তারা যেন ভিআইপি পাশ ইস্যু না করে। সকলে একটাই লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখুন। সব পুজো মণ্ডপের ক্ষেত্রে একই নিয়ম চালুর আবেদন করছি।’’
মঙ্গলবার কলকাতায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি (পুজো মণ্ডপে) ভিআইপি লাইনের বিরুদ্ধে। ভিআইপিরা গাড়ি হাঁকিয়ে যাবেন, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। আর সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন, এটা হতে পারে না।’’ বুধবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘গত বছর পুজো মণ্ডপে ভিআইপি কুপনের কথা জানতে পেরে আমরা তা বন্ধ করেছিলাম। এ বারও ভিআইপি টিকিট বা ভিআইপি প্রবেশপথ যাতে মণ্ডপে না হয়, আমরা তা দেখব।’’