সুতপা ও সুশান্তের পরিবারের কাছে যাবে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
বহরমপুরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গত সোমবার খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় সুশান্তকে। তার পর দফায় দফায় জেরা করে খুনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নেওয়া হয়েছে। এ বার তদন্ত প্রায় শেষের পথে বলে জানাল জেলা পুলিশ। কবে সুশান্ত বহরমপুরে এসেছিল, কী ভাবে সুতপার ওপর নজরদারি চালাত, সে কোথায় থাকত, এমনকি খুনের দিন কী কী ঘটনা ঘটেছিল— সেই সম্পর্কিত পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই খুনের তদন্তের ব্যাপারে বলা হয়, ‘‘স্থানীয় এলাকায় আমরা প্রতি দিন তদন্ত করছি। যদি কোনও জায়গা থেকে কোনও খবর পাই সেগুলো আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হওয়ার পথে। এর পর মালদহ যাব আমরা।’’
তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে এও দাবি করা হয়েছে, তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছে পুলিশ। প্রথম দিকে নির্লিপ্ত থাকলেও এখন তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে সুশান্ত। সব মিলিয়ে বহরমপুর পর্যায়ের তদন্ত প্রায় শেষ। প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে মালদহে সুশান্ত ও সুতপার পরিবার ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা হবে। সবার বয়ান নিয়ে চার্জশিট পেশ করাই এখন বহরমপুর পুলিশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেই কাজই তৎপরতার সঙ্গে করতে চাইছে জেলা পুলিশ।
গত সোমবার সন্ধ্যায় নৃশংস ভাবে খুন করা হয় মালদহের ইংরেজবাজারের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। বহরমপুরের অভিজাত এলাকা গোরাবাজার সুইমিং পুলের গলিতে এক যুবকের অতর্কিত আক্রমণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন উদ্ভিদবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পরে আততায়ীর পরিচয় সামনে আসে। জানা যায়, তাঁর নাম সুশান্ত চৌধুরী। কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের অবনতির কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।