—প্রতীকী চিত্র।
শুল্ক দফতরের অভিযানের পর মাদক কারবারে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। এক পুলিশকর্মী ও গাড়ির চালক জখম হয়েছেন। কাজে বাধা দেওয়ার এবং অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে পরিবারের সাত জনের বিরুদ্ধে নিজেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকেই ধরা যায়নি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে পলাশিপাড়া থানার বড় নলদহ গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ওই গ্রামে সাদা পোশাকে এক মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই পরিবার ও এলাকার কিছু লোক শুল্ক দফতরের ১২ জন কর্মীকে মারধর করে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। কোনও ক্রমে সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পলাশিপাড়া থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মিজাম শেখ, যার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের আরও একটি মামলা ছিল। এত দিন সে পলাতক ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ খবর পায়, মিজাম বাড়ি এসেছে। এর পরেই পুলিশের একটি দল বড় নলদহের সেই বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রথমে মিজামের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ জানতে পারে, পাশে কাকার বাড়িতে সে লুকিয়ে আছে। সেই বাড়িতে ঢুকে তারা পাকড়াও করে মিজামকে। কিন্তু এর পরেই তার পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ইটে জখম হন এক পুলিশকর্মী ও এক গাড়িচালক। পুলিশকে মারধর করে মিজামকে টেনে-হিঁচড়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই মিজাম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ গোটা গ্রামে তল্লাশি চালিয়েও আর তার খোঁজ পায়নি। পরে প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহত দু’জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, “মাদক ব্যবসা ছাড়াও পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হেনস্থা করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”