প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের ভিডিও তুলে তা ভাইরাল করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে ছবিতে অভিযুক্তদের চেহারা স্পষ্ট। পুলিশে নালিশও জানানো হয়েছে। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের ছুঁতেও পারেনি পুলিশ। নওদার গোঘাটা এলাকার ওই ঘটনায় নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ, দু’জেলার পুলিশের গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে মানুষ।
গত অক্টোবরে বাড়ি থেকে ছ’ কিলোমিটার দূরে ননদের বাড়ি গিয়েছিলেন ওই মহিলা। নদিয়ার পলাশিপাড়ার রাধানগর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় টোটো ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময় এক মোটরবাইক আরোহী নিজেকে ছেলের বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে প্রায় জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, কিছুটা গিয়ে কুলিতলায় এসে আরও তিন যুবক মহিলার মুখ বেঁধে ফাঁকা মাঠের দিকে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপরে অত্য়াচার চালায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মানসিক ভাবে ভেঙে পরা ওই মহিলা সোমবার বলেন, “আমার উপরে অত্যাচার চালিয়ে ওরা পালিয়ে য়ায়। কোনওরকমে বাড়ি ফিরি। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম তা লোকের মুখে মুখে পিরছে। আত্মহত্য়া করব ভেবেছিলাম।’’ মহিলার স্বামী বলেন, “ওর বাঁচার ইচ্ছা নেই। পুলিশের কাছে অনুরোধ অপরাধীদের শাস্তি দিন।” এ ব্যাপারে পলাশিপাডা় থানায় অভিযোগ জমা দেন তিনি। কিন্তু পুলিশের কোনও হেলদোল নেই।
পুলিশ অবশ্য জানায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ম মাফিক তদন্ত হয়েছে। নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) কৃশাণু রায় বলেন, “মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করেছে। আশা করছি, খুব শীঘ্র তদন্তের কিনারা করতে পারা যাবে।’’