Arrest in Murshidabad Gun shot

ধূমপানকে কেন্দ্র করে দিন পনেরো আগেই ঝামেলার সূত্রপাত! সুতিতে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

মুর্শিদাবাদের সুতিতে বুধবার সকালে গুলি চালানো হয়েছিল কবিরুল শেখকে নিশানা করে। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। সুতির ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাশেম শেখ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৪
Share:

বুধবার সকালে সুতিতে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাশেম শেখ। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায় ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম কাশেম শেখ। বাড়ি সুতি থানার কাশিমনগর এলাকায়। বুধবার সকালেই সুতির বাসিন্দা ইয়াদ শেখ ওরফে বিশুকে গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। ইয়াদের একটি সিমেন্টের দোকান ছিল। হামলার সময় ওই দোকানে কবিরুল শেখ নামে এক ক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিনো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং সিমেন্ট ব্যবসায়ী ইয়াদ গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বুধবার সকালের ওই ঘটনার পর থেকেই আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কাশেম এবং কবিরুল একে অন্যের আত্মীয়। কাশেমের পরিবারের সঙ্গে গত দু’সপ্তাহ ধরে গোলমাল চলছিল কবিরুলের পরিবারের। সূত্রপাত হয়েছিল দিন পনেরো আগেই। ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে কাশেম ও কবিরুলের ঝামেলা হয়েছিল সে দিন। তার পর থেকে গত দু’সপ্তাহে একাধিক বার দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। এমনকি মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর এলাকায় দুই পরিবারের গোলমাল বেঁধেছিল। দুই পরিবারকেই সামশেরগঞ্জ থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল গত রাতে। পরে মুচলেকা দিয়ে তাঁরা থানা থেকে ছাড়া পান। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার পর বুধবার সকালে আবার ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে কবিরুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। পুলিশের সন্দেহ ওই হামলার মূল ষড়যন্ত্রী কাশেমই।

গুলি চলার ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল সুতি থানার পুলিশ। তদন্তকারী সূত্রে সকালে জানা গিয়েছিল, অভিযুক্তদের একটি বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই বাইকের সূত্র ধরে অভিযুক্তদেরও খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির পর কাশেমকে ইতিমধ্যে প্রাথমিক জেরা করা হয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, হামলায় যে আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার হয়েছিল সেটির খোঁজ চলছে। পাশপাশি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement