গণ্ডগোলের ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করে বিতর্কে পুলিশ।
মঙ্গলবার তেহট্ট আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন খুনের মামলায় অভিযুক্ত ফাজিলনগরের মুনসাদ মণ্ডল। পুলিশ তাঁকে নাজিরপুরের একটি গণ্ডগোলের ঘটনায় গ্রেফতার করে বুধবার তাঁকে ফের তেহট্ট আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদারের দাবি, পুলিশ মঙ্গলবার আদালত চত্বর থেকে মুনসাদকে তুলে নিয়ে যায়। অথচ খাতায়-কলমে পুলিশ দেখাচ্ছে, আদালত থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে ছিটকা এলাকা থেকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে মুনসাদের দাদা নেহেরুল মণ্ডলও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয়কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় সব দিক বিবেচনা করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (গ্রামীণ) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ পেয়েছি। পুরো ঘটনার তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেব।’’
আইনজীবী অনিকেতবাবুর দাবি, ‘‘পুলিশ মুনসাদকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া পুলিশ এমনটা করতে পারে না। তাছাড়া পুলিশও ছিল সাদা পোশাকে। কাউকে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষেত্রে যে নিয়ম মানার কথা পুলিশ তা কিছুই করেনি।’’
যদিও জেলার সরকারি আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও অভিযুক্তকে আদালত চত্বর থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। তবে দেখতে হবে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া ফৌজদারি কার্যবিধি মেনে হয়েছে কি না।
এ ক্ষেত্রে সে সব কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর।