TMC

TMC: তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা, ধৃত আনারুল

আনারুলকে সঙ্গে নিয়ে শমসেরগঞ্জের কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমান এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৪০
Share:

কয়েক মাস আগে হওয়া নির্বাচনের আগে বহরমপুরে দলীয় সভায় এসে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক (বিপ্লব) সহ আরও কয়েক জন নেতাকে বহিষ্কার করেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় ফিরতেই আনারুল দলে ফিরতে চেষ্টা করছিলেন। আর সেই আনারুলকে সঙ্গে নিয়ে শমসেরগঞ্জের কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমান এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভোরে জইদুরের গ্রাম দেবীদাসপুর লাগোয়া ঘনশ্যামপুরের ঘটনা। জিয়াউর রহমান নামে স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতা কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক সহ চার জনের নামে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ আনারুলকে গ্রেফতার করেছে।

জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এ দিন আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"
ঘনশ্যামপুরের জিয়াউর রহমান গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন তিনি নির্দল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। জিয়াউরের দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার ভোর রাত দুটো নাগাদ আমি ও আমাদের এক কর্মী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওই সময় পড়শি গ্রাম দেবীদাসপুরের বাসিন্দা কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান এবং বিপ্লবের নেতৃত্বে আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাঁদের কাছে অস্ত্র ছিল। আমার বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়েছে। আমি পালিয়ে যাওয়ার ফলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ সহ থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’

Advertisement

যদিও কংগ্রেস প্রার্থী জইদুরের দাবি, ‘‘কিছু ছেলে উত্তেজিত হয়েছিল। আমি আর বিপ্লব গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দিই। কোনও ঘটনা সেখানে ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যে সিসিটিভির ফুটেজের কথা বলা হচ্ছে তা সব সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া হোক। তাতেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

শমসেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আনারুল হককে তৃণমূল অনেক আগেই বহিষ্কার করেছে। ও কংগ্রেস প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভোটের আগের রাতে আমাদের এক নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। ভোটের আগে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে এমনটা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছি।’’

জইদুর যে বুথ থেকে এজেন্ট বার করে দিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন, সে প্রসঙ্গে আমিরুলের দাবি, ‘‘শমসেরগঞ্জে ১৯কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। এর মধ্যে বুথ থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ হাস্যকর। ওরা যেখানে এজেন্ট দিতে পারেনি সেখানে এজেন্ট নেই। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’’

তৃণমূলের জঙ্গিপুর ইউনিটের সভাপতি তথা জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘আজ ভোট নিয়ে ব্যস্ত আছি। ঘনশ্যামপুরে কি হয়েছে জানি না। পরে খোঁজ নিয়ে জানাব।’’ সূত্রের খবর রাত ২.৪৪ মিনিটের সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কিছু উত্তেজিত লোক একটি বাড়ির দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement