— প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের নথি জাল করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। খুনের মামলায় জেলবন্দি বাবাকে জামিনে মুক্ত করতে অভিযুক্তের ছেলে এক আইনজীবীকে দিয়ে নথি জাল করেন বলে সিআইডির দাবি।
ভুয়ো নথি তৈরি করে জামিনের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকেই জামিনে মুক্ত প্রধান অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল সিআইডি। রবিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার অঙ্গারপুর সেতু থেকে লালু শেখকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ভুয়ো নথি তৈরি করে জামিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত লালুর ছেলে। সেই সঙ্গে আইনজীবীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে সোমবার কান্দি আদালতে তোলা হয়।
২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল ভরতপুরের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামে আশরাফ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে লালু-সহ গ্রামেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেফতার করে লালুকে। কান্দি মহকুমা আদালত ধৃত লালুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এর পর লালুর ছেলে লাবু কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম রায়ের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, আইনজীবীর কাছ থেকে হাইকোর্টের একটি ভুয়ো জামিনপত্র নিয়ে এসে কান্দি আদালত থেকে বাবা লালুর জামিন করিয়ে নেন ছেলে লাবু। কিন্তু পরে দেখা যায়, জামিনের নথিটিই ছিল ভুয়ো। এর পরেই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। তদন্তে নেমে লাবুকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার হন আইনজীবী অরিন্দমও। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত লাবুর বাবা লালুর। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় সিআইডি। তাতেই রবিবার গভীর রাতে সিআইডির জালে পড়েন লালু।