— প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মী সাইদুল শেখকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। ধৃতদের শনিবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের সঙ্গে মৃত তৃণমূল কর্মীর জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টায় পুলিশ।
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় থানারপাড়া থানার পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করে লিখিত অভিযোগে নাম থাকা তিন অভিযুক্তকে। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, ধৃত শাহাদ আলি মণ্ডল, টারজ়ান মণ্ডল এবং একরামুল মণ্ডলের সঙ্গে বছরখানেক ধরে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল তৃণমূল কর্মী সাইদুলের। সেই বিবাদের জেরে মৃত তৃণমূল কর্মীকে আগেও মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এই তিন জনের বিরুদ্ধেই। সাইদুল অভিযোগ করেছিলেন পুলিশে। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতারও করেছিল। সেই বিবাদের জেরেই সাইদুলকে খুন করা হয় বলে মনে করছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল কর্মী সাইদুলকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। তার কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ির অদূরে একটি কালভার্টের কাছে সাইদুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি সাইদুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নতিডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, লোকসভা ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সাইদুলকে খুন করেছে। তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, পুরনো জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ধৃতেরা তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছেন। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।’’