এক তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ভরতপুরের শেহালই গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম প্রতিমা ঘোষ (১৯)। মৃতার বাবা গঙ্গাধর ঘোষ ওই তরুণীর স্বামী জয়ন্ত ঘোষ, শ্বশুর ধীরেন ঘোষ ও দাদাশ্বশুর বিশ্বনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মৃতেরা বাপের বাড়ির লোকজন সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে প্রতিমার সঙ্গে ওই গ্রামের বেসরকারি সংস্থার কর্মী জয়ন্তর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলেও আছে। বিয়ের সময় সোনার গয়না ও নগদ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আরও পণের জন্য প্রতিমার উপর চাপ দেওয়া হয়। অভিযোগ, ইতিমধ্যে জয়ন্ত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। প্রতিমা তার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হত। শ্বশুর ও দাদুশ্বশুরও মারধর করত প্রতিমাকে। পরিস্থিতি চরমে ওঠে মঙ্গলবার। এ দিন প্রতিমাকে প্রথমে মারধর ও পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঘরের মধ্যেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে দাদাশ্বশুর। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মৃতার বাবা গঙ্গাধর ঘোষ বলেন, “মাঝে মাঝে মারধর করত। কিন্তু জয়ন্তর বিবাহ বহিঃভূত সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম না। মেয়ের কাছে শুনে আমরাও সরে আসার কথা বলি। তারপরে অত্যাচার আরও বাড়ে। অতিরিক্ত টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েকে ওরা খুন করে দেবে ভাবতে পারিনি।” পুলিশ জানিয়েছে একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্ত দু’জন পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে।