অনন্যার হৃদরোগের প্রমাণ নেই

তবে পুলিশ যা-ই বলুক, অনন্যার পরিবার তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, জলে ডুবেই যদি অনন্যার মৃত্যু হয়ে থাকে, কী ভাবে তিনি ডুবলেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৮
Share:

মৃত অনন্যা। নিজস্ব চিত্র

সুইমিং পুলে তরুণীর মৃত্যু রহস্যের কিনারা হল না বৃহস্পতিবারও। মৃত্যুর কারণ জানতে বুধবার শক্তিনগর পুলিশ মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। তার রিপোর্ট হাতে না পেলেও পুলিশের দাবি, জলে ডুবে অনন্যা দাস মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা ব্রেন স্ট্রোকের কোনও প্রমাণও মেলেনি বলে জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি। যদিও রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

Advertisement

তবে পুলিশ যা-ই বলুক, অনন্যার পরিবার তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, জলে ডুবেই যদি অনন্যার মৃত্যু হয়ে থাকে, কী ভাবে তিনি ডুবলেন? কেননা সুইমিং পুলে মাত্র পাঁচ ফুট গভীর জল, তাতে কারও ডোবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তা ছাড়া, অনন্যা গত তিন-চার মাস ধরে সাঁতার শিখছিলেন। একেবারে আনপড় নন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, "বিষয়টা খুব যে সহজ তা বলা যাচ্ছে না। কিছু প্রশ্ন তো আছেই। তবে সবটাই পরিষ্কার হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।’’

রোজকার মতোই মঙ্গলবার অফিস থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগরে অফিসার্স ক্লাবের সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে গিয়েছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী অনন্যা। প্রশাসনের দাবি, প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সকলে জল থেকে উঠে এলেও তিনি ওঠেননি। পরে তাঁকে উপুড় হয়ে ভাসতে দেখা যায়। ডাকাডাকিতে সাড়া না মেলায় প্রশিক্ষকরা কাছে গিয়ে দেখেন, তিনি অসাড় হয়ে আছেন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের তরফে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

অনন্যার স্বামী সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, ‘‘যে যাই বলুক, আমাদের কাছে পরিষ্কার— অনন্যার মৃত্যু এমনি জলে ডুবে হয়নি। এর ভিতরের রহস্য আমরা জানতে চাই।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement