শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক চিকিৎসক। তার পরেই শুরু হয়েছে হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ। বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
করোনায় দেশ জুড়ে প্রায় প্রতিদিন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে।
এ বার কোভিড-আক্রান্ত হলেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি আদতে নদিয়ার বাসিন্দা নন। তবে দিন কয়েক আগেই তিনি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে টানা ডিউটি করেছেন। তাঁর রিপোর্ট আসার পরে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ‘স্যানিটাইজ’ করা হয়। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বহির্বিভাগ, মেডিসিন, সার্জারির মতো বিভাগ। তবে জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিৎসক কলকাতার বাগুইআটির বাসিন্দা। গত ৫ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই তিনি হাসপাতালে টানা ডিউটি করেন। ১১ জুলাই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ হয়। এর পরেও ১৩ জুলাই পর্যন্ত তিনি ডিউটি করেন। পরে বাড়়ি ফিরে যান। বুধবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগ্, মেডিসিন, সার্জারি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়। হাসপাতালের গেটের কাছে একটি শিবির করে চালু রাখা হয়েছে ইমার্জেন্সি। প্রসূতি বিভাগও চালু রয়েছে। জরুরি অস্ত্রোপচারও হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস-সহ ১৬ জন চিকিৎসকের লালারসের নমুনা এ দিন নেওয়া হয়েছে। নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নমুনাও নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে পরিস্থিতি দেখতে যান শান্তিপুরের পুর প্রশাসক তথা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অজয় দে। নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “হাসপাতালে কারা-কারা ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনা টিকা অক্টোবরেই? সেই চেষ্টাই চলছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা
নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ওই চিকিৎসক কোয়রান্টিনে যেতেন। কিন্তু তিনি এমন কারও সংস্পর্শে আসেননি। তাই রিপোর্ট আসার আগে তিনি কোয়রান্টিনে যাননি।’’
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে