মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করে আপ্লূত ইসমাইল সেখ। ছবি অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
রাহুল গান্ধীকে দেখার স্বপ্নপূরণ হল ইসমাইল শেখের, রাহুলের কাছ থেকে চকলেট উপহার পেয়ে উল্লাসিত শমশেরগঞ্জের এই যুবক। টিভি আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধীর ছবি দেখে স্বপ্ন ছিল কাছ থেকে এই কংগ্রেস নেতাকে দেখার। কিন্তু এত কাছ থেকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা হবে তা ভাবতে পারেননি শমশেরগঞ্জের কোহেতপুরের ইসমাইল শেখ।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের উপর দিকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় প্রথম হাত নাড়িয়ে রাহুল গান্ধীর দর্শন এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্ব গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাত মেলানোর আনন্দে আত্মহারা কোহেতপুর গ্রামের বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবক ইসমাইল। শুধু করমর্দনই নয়, রাহুল গান্ধী তাঁকে একটি চকলেট উপহার দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ইসমাইল। স্মৃতি হিসেবে সেই চকলেট রেখে দিতে চাইছেন তিনি।
ইসমাইল বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে দেখার জন্য সকাল থেকে যাবতীয় কাজ বন্ধ রেখে আমি শমসেরগঞ্জের বাসুদেবপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে না পারায় আমি আমার বিশেষ ট্রাই বাইক নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঠিক ৯টা ৪৫ মিনিটে বাসুদেবপুর আসতেই দূর থেকেই রাহুল গান্ধীকে হাত নাড়াই।’’ সে সময়ই কংগ্রেস নেতাদের নজরে আসলে তাঁরা তাঁকে সামনে আসতে বলেন। কিন্তু প্রচুর ভিড়ের কারণে কাছে আসতে পারছিলেন না ইসমাইল। তাঁর দাবি, ‘‘এরই মাঝে ট্রাই বাইকে তেল শেষ হয়ে যায়। তেল ভরেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে ট্রাই বাইক নিয়ে সুতির উদ্দেশে ছুটে যাই।’’ অজগরপাড়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ফাঁকা জায়গায় ট্রাই বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সকাল ১০টা ৩৫ এর সময় ওই পথ দিয়েই যাওয়ার পথে রাহুলের নজরে আসেন ইসমাইল। তখনই কাছে ডাকা হয় তাঁকে। রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা রক্ষীরা এ সময় কোলে নিয়ে রাহুলের সামনে বসিয়ে দেন তাঁকে, স্বপ্নপূরণ হয়ে যায়। শমসেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, ‘‘এক বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যাক্তিকে কাছে নিয়ে তাঁর কথা শোনা, উপহার দেওয়া, এটাই কংগ্রেসের ঐতিহ্য।’’