প্রতীকী চিত্র
ভিসা হাতে পেলেই মাজদিয়ার নালুপুরের বাসিন্দা অসীম বিশ্বাসকে আবার বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের খুলনার রামপালে যেতে হবে। সেখানে তৈরি হচ্ছে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভারতীয় সংস্থা তৈরির বরাত পেয়েছে। অসীমবাবু সেখানকার অন্যতম শ্রমিক ঠিকাদার। এরই মধ্যে চার কিস্তিতে ৩২ জনকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিজে ভিসার অপেক্ষা করছেন। বলছেন, “ফিরে না গিয়ে আর উপায় নেই। পরিবার তা না-হলে না খেয়ে মরবে।” তাঁর মতো অনেকেই লকডাউনের সময় ফিরে এসেছিলেন গ্রামে। অনেকেই রুজির টানে ফিরতে শুরু করেছেন।
রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি পাবনাতেও একটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। সেখানেও নদিয়ার প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করছেন। অসীমবাবুর দাবি, শুধু কৃষ্ণগঞ্জেরই নালুপুর, পুঁটিখালি, নাঘাটা, কানাইপুর, ভাজনঘাট এলাকার প্রায় দেড়় হাজার মানুষ এই দু’টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করছেন। প্রায় বছরখানেক আগে শুরু হয়েছিল কাজ। তার পর করোনাভাইরাস হানা দেয়। ২২ মার্চ বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ২৭ জুন বাংলাদেশ থেকে ৫টি বিমানে করে ভারতীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা হয়। প্রতিটি বিমানে ২৬৪ জন করে যাত্রী। তারই একটিতে চেপে বসেছিলেন অসীমবাবুরা।
কাজ না করলেও তিন মাসের বেতন দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেই টাকায় অনেক দিন বসে খাওয়া গিয়েছে। অসীমবাবুর কাছে আবার ফোন আসা শুরু হয়েছে কাজ চেয়ে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাও কাজের জন্য শ্রমিক সরবরাহ করতে বলছে। ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছেন ধরমপুরের বাসিন্দা অমল বৈরাগ্য। গিয়েছেন তাঁর মতো আরও অনেকে। টেলিফোনে তিনি বলেছেন, “কিৈাৈৈসের করোনা? কাজে না গেলে না খেতে পেয়ে পরিবারে সদস্যেরা মারা যাবে। এ ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই আমার জন্য।”