কার্নিভ্যাল। তবে দুর্গার নয়, লক্ষ্মীর। কলকাতা রেড রোডের কার্নিভ্যালের ধাঁচে দিন কয়েক আগে দুর্গা কার্নিভ্যাল দেখেছে রানাঘাট। এ বার কার্নিভ্যাল চাকদহে প্রত্যন্ত গ্রামে। রানাঘাটে কার্নিভ্যাল আয়োজক ছিল রানাঘাট পুরসভা। চাকদহে আয়োজক কল্যাণী মহকুমা পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার চাকদহের দরাপপুরে লক্ষ্মী কার্নিভ্যালের আয়োজন হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় সারা। কিন্তু, আয়োজক থেকে পুজো উদ্যোক্তা— প্রত্যেককে চিন্তায় রেখেছে আবহাওয়া। সোমবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। রাতেও চলেছে বিরামহীন ধারাপাত। তবে প্রত্যেকে আশাবাদী মঙ্গলবার আবহাওয়ার উন্নতি হবে। কল্যাণীর এসডিপিও উত্তম ঘোষ বলেন, “এই প্রথম লক্ষ্মী কার্নিভ্যালে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত নটা পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা চলবে।” তিনি জানান, “পূজো উদ্যোক্তাদের একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনাটা এর অন্যতম উদেশ্য। কার্নিভাল হলে সবাই সতর্ক থাকবে। কারণ, শোভাযাত্রার উপরে নম্বর ও পুরস্কারের ব্যাপার থাকছে।”
কেন দরাপপুরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় কার্নিভ্যাল? তাও আবার লক্ষ্মীপুজোয়? বাসিন্দারা বলছেন, হবে নাই বা কেন? দরাপপুরে দুর্গা পুজো হয় না বললেই চলে। এখানে লক্ষ্মীপুজোই প্রধান উৎসব। দেশ ভাগের পরে ওপার বাংলা থেকে আসা দরাপপুরের বাসিন্দারা ১৯৫০ সালে বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে শুরু হয় বারোয়ারি। বর্তমানে দেড়শোটি বারোয়ারির মধ্যে ১০০টি বড় পুজো। শ’খানেক বাড়ির পুজোও নজরকাড়া। নানা জায়গার মানুষ ভিড় করেন লক্ষ্মী পুজো দেখতে। পুজোয় বসে মেলাও।