নদী-পাড়েই মোনাজাত শমসেরগঞ্জবাসীর
বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি। গত এক বছর ধরেই একের পর এক গ্রাম গিলে খাচ্ছে বন্যা। ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে মোনাজাত (প্রার্থনা) করলেন শমসেরগঞ্জের উত্তর চাচন্ড গ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
গত সপ্তাহে রাজ্যে কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টির জেরে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়। এই বন্যায় উত্তর চাচন্ড গ্রামের অধিকাংশ চাষের জমিই ভেসে গিয়েছে। তিল তিল করে গড়ে তোলা পাকা বাড়ি নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। না জানি কখন হঠাৎ করে তলিয়ে যায় গ্রাম, এই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর। ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে রবিবার সকাল ছ’টা নাগাদ নদী তীরে জড়ো হয়ে মোনাজাতে সামিল হন তাঁরা। ভাঙনে যেন তাদের শেষ সম্বল টুকুও না কেড়ে নেয় তার, জন্যও প্রার্থনা করলেন গ্রামবাসীরা।
তাঁদের কথায়, ‘‘রবিবার সকাল থেকে গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা মেলেনি। সরকারি আধিকারিকদের দেখা নেই। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি।’’
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরেই শমশেরগঞ্জ ভাঙন চলছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির উপর নজর রাখছি।’’