দলীয় সভায় অবাক পার্থ

এরা তো কিছু জানে না গো, দলীয় সভায় অবাক পার্থ

ভরা মঞ্চ।দূরের গ্রাম থেকে মফস্সল, জেলার মেজ-সেজ নেতাদের হাত ধরে হাজার কয়েক নিতান্তই নিচুতলার কর্মীর ভিড়।প্রশ্নটা ছুঁড়লেন সেই ভিড়েই— ‘‘বলুন তো নদিয়া জেলা পরিষদ ভাল কাজের জন্য বিদেশে কী পুরস্কার পেয়েছে?’’

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বগুলা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

বগুলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ভরা মঞ্চ।

Advertisement

দূরের গ্রাম থেকে মফস্সল, জেলার মেজ-সেজ নেতাদের হাত ধরে হাজার কয়েক নিতান্তই নিচুতলার কর্মীর ভিড়।

প্রশ্নটা ছুঁড়লেন সেই ভিড়েই— ‘‘বলুন তো নদিয়া জেলা পরিষদ ভাল কাজের জন্য বিদেশে কী পুরস্কার পেয়েছে?’’

Advertisement

স্তব্ধ নেতাদের ভিড় থেকে হাত উঠল সাকুল্যে খান কুড়ি।

দলের মহাসচিব তথা নদিয়া জেলা পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায় চশমার কাচ মুছছেন, কিঞ্চিৎ হতাশ দেখাচ্ছে কি তাঁকে? পাশে বসা সভাধিপতি বাণীকুমার রায় অস্বস্তি নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে চাইছিলেন পার্থবাবু তাঁকে বলেই ফেললেন, “কইগো বাণী কিছুই জানে না যে!’’

আরও এক বার চেষ্টা করলেন তিনি, ‘‘বলুন তো আমাদের দলটা কবে গড়া হয়েছিল?’’ হাত এ বারও উঠলো বটে, তবে ওই, মেরেকেটে শ’খানেক। মরিয়া হয়ে শেষ প্রশ্ন করেছিলেন পার্থবাবু, স্বাস্থ্য নিয়ে দলনেত্রী কী করছেন আপনারা জানেন তো? তবে, আর উত্তরের অপেক্ষা করেননি। ঝুঁকি না নিয়ে নিজেই বলতে থাকেন, ‘‘আপনার মুখ দেখে তো ভোট হবে না হবে, মমতার কাজ দেখে। আপনারা তো সেই কাজের খবরই জানেন না। রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তাঁর তালিকা মানুষের সামনে তুলে ধরুন।’’ তার পর ক্লান্ত গলায় পরামর্শ, ‘‘না জানলে, দলীয় নেতৃত্বর কাছে খোজ নিন, রাজ্য সরকারের কিছু পুস্তিকাও রয়েছে, খুঁটিয়ে দেখুন।’’ নেতা-কর্মীদের জ্ঞানের বহর দেখে অবস্থা দেখে সামাল দিতে উঠেছিলেন বাণীকুমার। পার্থ তাঁকে বলেন, ‘‘থাক আর বলতে হবে না।’’

আরও পড়ুন: দলকে চাঙ্গা করতেই বেফাঁস কথা, সাফাই অনুব্রতর

হাঁসখালির বগুলা কলেজে জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের এমনই ‘না-জানা’ চেহারা ফুটে উঠল রবিবার বিকেলে।

নারদা দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে, দলীয় কর্মীদের যে আরও এক বার সতর্ক করে দেওয়া প্রয়োজন, দিন কয়েক আগেই তা জানিয়েছিলেন দলনেত্রী। দলের শীর্ষ নেতাদের জেলা ঘুরে সে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই, এ দিন নদিয়ার বগুলায়, ওই সভায় মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় সতর্কও করে দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের।

পার্থবাবু বলেন, “খেয়াল রাখবেন, কারও বিরুদ্ধে যেন দূর্নীতির অভিযোগ না থাকে। আমরা খেতে না পাই, কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে যেন দূর্নীতির অভিযোগ না ওঠে। দলের কয়েজন লোক এমন করবে আর তার জন্য দল মরবে, এটা হতে পারে না।” তবে, সভার পরে নারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে পার্থবাবু বলছেন, ‘‘ওটা বিচারাধীন বিষয়। কোনও মন্তব্য নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement