তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের সঙ্গে কাজলা বিবি। — নিজস্ব চিত্র।
জোট গড়ে করে ভোটে লড়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড গঠন এবং প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া। বাম এবং কংগ্রেসের জয়ী সদস্যদের ভোটে জোটের তরফে নির্বাচিত হন প্রধান। ঠিক তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সদ্য নির্বাচিত সেই পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ব্লকের ১২ নম্বর জুড়ানপুর পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আরও সাত কংগ্রেস সদস্যও দলবদল করেছেন বলে তৃণমূলের দাবি। এর ফলে ওই পঞ্চায়েত এখন তাদের বলেও দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল।
ডোমকল ব্লকের ১২ নম্বর জুড়ানপুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৭টি। তার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র তিনটি। কংগ্রেসের দখলে ছিল আটটি এবং সিপিএমের ঝুলিতে যায় ছ’টি আসন। বৃহস্পতিবার ১৪-৩ ভোটে প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের জয়ী সদস্য কাজলা বিবি। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ার কিছ ক্ষণের মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান অফিস চত্বরেই যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের বাকি সাত জয়ী সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কাজলা বিবির কথায়, ‘‘রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে থেকে মানুষের কাজ করতে চাই। তাই আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাসের ব্যাখ্যা, ‘‘কোথাও প্রলোভন দেখিয়ে, কোথাও ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস এবং বিরোধী সদস্যদের দলে যোগদান করতে বাধ্য করছে তৃণমূল।’’
জাফিকুল অবশ্য বলেন, ‘‘প্রধান-সহ বেশ কয়েক জন বিরোধী দলের সদস্য তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে।’’