ডোমকলের সবজির বাজার। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে বোমা গুলির লড়াই। পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে রক্তে ভেজা ডোমকল। ফলে এই নির্বাচনের সময় এলেই আশঙ্কার মেঘ ঘনায় ডোমকলের আকাশে। তা ছাড়া গত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন করতে না দেওয়ায় এক নতুন ইতিহাস গড়েছে ডোমকল। তবে এ বার ‘ওয়াকওভার’ হবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। এ বার ডোমকলের বিরোধীরা কোমর বেঁধেই নামতে চাইছে মাঠে। যদিও আমজনতা থেকে রাজনৈতিক মহলের মতে ইসলামপুর জলঙ্গির মতো এখনও শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি ডোমকলের বিরোধীরা। শাসকের অন্দরের ফাটলটাও সেখানকার মতো বড় নয়। ফলে ডোমকলে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় আছে শাসক দল। যদিও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে মাথাব্যথা আছে তাদের।
দলেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা নানা সময় অভিযোগ তুলেছেন দলের প্রধানের বিরুদ্ধে। এমনকি পঞ্চায়েত থেকে সরে যাওয়া প্রধান সরাসরি আঙুল তুলেছেন দলের ব্লক সভাপতি থেকে বিধায়কের দিকে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্দরের কলহ কোথায় পৌঁছবে তা সময় বলবে।
পরপর দু’টি নির্বাচনে কোদালের বাট নিয়ে রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটা এখনও সাধারণ মানুষের মনে দগদগে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর সেই ক্ষত থেকেই শাসকের বিরুদ্ধে যাবে জনমত এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা।
সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ‘‘আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি ছোট ছোট করে বুধ ভিত্তিক সভা চলছে আমাদের। তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সকল শক্তিই থাকবে আমাদের সঙ্গে।’’
প্রায় একই সুর কংগ্রেসের গলাতেও। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলছেন, ‘‘আর না, গণতন্ত্রকে হত্যা হতে ডোমকলে আমরা দেব না। ২৮ নভেম্বর ডোমকলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী আসছেন। সেদিন থেকে পঞ্চায়েতের জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে কংগ্রেস কর্মীরা।’’
ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে। গণতন্ত্রকে হত্যা করার কোনও ইচ্ছে আমাদের নেই।’’ ডোমকলের বিধায়ক তৃণমূলের জাফিকুল ইসলাম বলছেন, "গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হয়েছে সেটা বলতে পারব না। তবে আগামী নির্বাচনে একেবারে রক্তপাতহীন এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই হবে।’’