রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র
স্বস্তিতে নেই কেউই। তৃণমূল হোক আর বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দলের চোরাস্রোত সামাল দিতে নাজেহাল। এ দিকে সিপিএমও তেমন ভাল অবস্থায় নেই। ভোট এগিয়ে এলেও কোনও পক্ষই বুক বাজিয়ে পঞ্চায়েত দখলের কথা বলতে পারছে না।
এমনিতে এই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি প্রায় সমান শক্তিশালী ও সক্রিয়। ২০১৮ সালে সিপিএম সদস্যদের দলে টেনে পঞ্চায়েত দখলে নিয়েছিল তৃণমূল। সে বার বিজেপি ও তৃণমূল আসন সংখ্যা সমান হওয়ায় সিপিএমের সাহায্য ছাড়া বোর্ড গঠন সম্ভব ছিল না। সিপিএম নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও পক্ষকেই সমর্থন করবেন না। দলের তিন জয়ী সদস্যকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়।
ফলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ বিজেপি ও তৃণমূল কেউই প্রতিপক্ষ শিবিরকে ভাঙিয়ে বোর্ড গঠনে সক্ষম হয়নি। একমাত্র উপায় ছিল সিপিএম সদস্যরা। তাঁদের উপরেই পঞ্চায়েতের ভাগ্য নির্ভর করতে থাকে। ফলে তাঁদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। একদিকে দলের অনুশাসন আর অন্য দিকে পঞ্চায়েত পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান। দোটানায় পড়ে শেষ পর্যন্ত সিপিএমের দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন এবং পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল।
তবে তৃণমূল বোর্ড দখল করলেও এলাকায় বিজেপির দাপট কিন্তু থেকেই গিয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপিই এখানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এটা পঞ্চায়েত ভোট। অনেকের মতেই, বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে যে দল উপদলীয় কোন্দল সামাল দিতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।