Bangladeshi

পাক যুবক বাংলাদেশি স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ভারতে আছেন ১০ বছর! কর্নাটক থেকে গ্রেফতার পরিবারের চার

ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং আরও দুই আত্মীয় বাংলাদেশের নাগরিক। স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির নাম-পরিচয় গোপন করে পাক নাগরিক থাকছিলেন বেঙ্গালুরুর একটি জায়গায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সঙ্গে ভারতীয় আধার কার্ড আছে। তবে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা যুবককে গ্রেফতার করল কর্ণাটকের পুলিশ। একই সঙ্গে আরও চার জনকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ এবং বসবাসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভারতীয় নথি উদ্ধার হওয়ায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আদেশ দিয়েছে কর্ণাটক সরকার।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে ২০১৪ সালে ভারতে প্রবেশ করেছিল চার সদস্যের একটি বাংলাদেশি পরিবার। পরে তারা যায় বেঙ্গালুরুতে। তার আগে কিছু দিন সকলে দিল্লিতে ছিলেন। জাল ভারতীয় পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড তৈরি করে এ ভাবেই ১০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে ওই বাংলাদেশি পরিবার। তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে, পরিবারের ধৃত এক সদস্য প্রকৃত পক্ষে পাকিস্তানের নাগরিক। ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং আরও দুই আত্মীয় বাংলাদেশের নাগরিক। স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির নাম-পরিচয় গোপন করে পাক নাগরিক থাকছিলেন বেঙ্গালুরুর একটি জায়গায়। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃতদের কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট এবং জাল আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রশিদ আলি সিদ্দিকি নাম ভাঁড়িয়ে শঙ্কর শর্মা হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী আয়েশা হানিফের নাম ভারতীয় পরিচয়পত্রে দেখানো হয় আশা শর্মা হিসাবে। বাবা হানিফ এবং মা রুবিনার নামও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, তারা ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল।

Advertisement

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের নাগরিক রশিদ বাংলাদেশের ঢাকায় বিয়ে করেছিলেন। পরে স্ত্রী এবং শ্বশুরকে নিয়ে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকেন। এক দালালের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে পাড়ি দেয় গোটা পরিবার। সেখান থেকে তারা বসবাস শুরু করে বেঙ্গালুরুতে। এ নিয়ে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, কী ভাবে এবং কেন ওই পরিবার ভারতে এসেছে, তার তদন্ত হচ্ছে। পাশাপাশি গত ১০ বছর কী ভাবে পরিচয় গোপন করে ভারতে থেকে গেল, সেটাও দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement