Berhampore

পাটশিল্পের কথা ভেবেই বহরমপুরে পিএসি বৈঠক

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বহরমপুরে হবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) বৈঠক। চলতি বছর পিএসি-র শতবর্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:২০
Share:

কাশিমবাজার রাজবাড়িতে পিএসি সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।

নবাবি ইতিহাস একটা আছে বটে। তার বাইরে গঙ্গা তীরবর্তী আর পাঁচটা মফস্‌সলি শহরের সঙ্গে জীবন যাপনে বিশেষ তফাত নেই বহরমপুরের। সেই আপাত-নিস্তরঙ্গ নাগরিক জীবনই হঠাৎ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পিএসি-বৈঠকের হাত ধরে।

Advertisement

আজ, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বহরমপুরে হবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) বৈঠক। চলতি বছর পিএসি-র শতবর্ষ। আর শতবর্ষে প্রথম বৈঠক হচ্ছে এ রাজ্যে।

সাত দিনের বৈঠকের তিন দিন হবে বহরমপুরে। পিএসি-র এ ধরনের বৈঠক সাধারণত দেশের মেট্রো শহরগুলিতেই হয়। তবে কেন বহরমপুর? সে প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অধীর জানান, এ বারের বৈঠকে পাট, বস্ত্রবয়ন শিল্প নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। আর যেহেতু মুর্শিদাবাদে দেশের সেরা পাট উৎপাদিত হয়, সেই জন্যই বৈঠকের স্থান হিসেবে বাছা হয়েছে বহরমপুরকে। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহারে জোর দিতে বলা হচ্ছে। প্লাস্টিকের বিকল্প পাট। পাটজাত দ্রব্য উৎপাদনে মুর্শিদাবাদ তথা গ্রামবাংলার চাষিদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। বাড়ির মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের এ ধরনের পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে। তাতে রোজগারের দুয়ার খুলে যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈঠকে বস্ত্রবয়ন মন্ত্রককে ডাকা হয়েছে। পাট আর পাটের মিল আর বস্তা তৈরি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে পাট শিল্পের তেমন বিস্তার হয়নি। পাটতন্তুর ব্যবহার বাড়ানো যায় কি না, তার জন্য পাটকলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ডাকা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও যোগদানে অনুরোধ করা হয়েছে।’’

Advertisement

আজ, বহরমপুরের রবীন্দ্রসদনে কমিটির সদস্য ও পাট শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, জেলার বিধায়ক, সাংসদরাও আমন্ত্রিত।

বৈঠকে জুট কর্পোরেশনের নতুন চেয়ারম্যান, সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। এ নিয়ে অধীরের মন্তব্য, “নিয়মানুযায়ী তাঁর (শুভেন্দু) আসার কথা। তবে নতুন দায়িত্ব। তাঁর অভিজ্ঞতা না-ও থাকতে পারে। তাই দফতরের আধিকারিকদেরও এবারের বৈঠকে পাঠাতে পারেন তিনি।”

এদিন পিএসি-র সদস্যরা মায়াপুরে বেড়াতে যান। সেখান থেকে বহরমপুরে ফিরে তাঁরা যান কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়িতে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

নৈশ আহারের বন্দোবস্তও ছিল। আমন্ত্রিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement