কাঁচা ইট। — ফাইল চিত্র।
অধিক হারে জিএসটি, কয়লার দাম বাড়া-সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ইটভাটা মালিকরা। জিএসটি কমানো এবং অন্য কয়েকটি দাবিতে এ বার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভাটা মালিকদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ব্রিক অ্যান্ড টাইলস ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশন’।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও আজ, সোমবার থেকে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ছ’দিন ইটভাটা বন্ধের ডাক দিয়েছে জেলায় ভাটা মালিকদের একটি সংগঠন। এর ফলে কয়েক দিনের জন্যে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা। ইটভাটা মালিকদের বক্তব্য, জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর গোড়ায় এক শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হত। সেই সময় জিএসটি বাবদ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হত ভাটা মালিকদের। সম্প্রতি ইটভাটায় ৬-১২ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য হয়েছে। তাতেই বিপাকে পড়েছেন ভাটা মালিকরা। নওদার একটি ভাটার মালিক পীযূষকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সরকারকে জিএসটি দিচ্ছি। কিন্তু ক্রেতা জিএসটি দিয়ে ইট কিনছেন না। এতে ইটভাটা মালিকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।’’
এ ছাড়া, কয়েক মাসে কয়লার দাম বেড়েছে। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে কয়লার দাম ছিল প্রতি টন ৮-৯ হাজার টাকা। কয়েক মাসের মধ্যেই তার দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। জিএসটি এবং কাঁচামালের দাম বাড়ায় প্রতি এক হাজার ইটের দাম দেড় থেকে দু’ হাজার টাকা বাড়াতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তা করা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে এই জেলায় প্রায় সাতশো ইটভাটা রয়েছে। দেড় লক্ষ শ্রমিক সেখানে কাজে যুক্ত। ভাটা বন্ধ করতে হলে রুজি হারাবেন ওই শ্রমিকরাও।
ইটভাটা মালিকদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক আব্দুল বাকি বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান দাবি, ইট শিল্পের উপর থেকে জিএসটি কমানো। সেই দাবিতেই ১২-১৭ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’’
তিনি আরও জানান, জিএসটি কমানো, শ্রমিক চুক্তির উপর অতিরিক্ত জিএসটি বাতিল করা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে তাঁরা আগামী বুধবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। অন্যদিকে, টানা ছ’দিন ইটভাটায় ধর্মঘট এবং ইট বিক্রি বন্ধ থাকলে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা নির্মাণকাজে যুক্ত ঠিকাদার এবং শ্রমিকদের। ধর্মঘটের খবরে অনেকেই আগাম ইট কিনে রাখছেন।