গ্রেফতার অভিযুক্ত। প্রতীকী চিত্র।
প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছেন বৌমা। তাঁকে ফাঁসাতে ছক কষেছিলেন মা এবং ছেলে। ছেলেকে লুকিয়ে বৌমার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছিলেন শাশুড়ি। তদন্তে নেমে সেই রহস্য ফাঁস করল পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভীমপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভীমপুর থানার সন্ধ্যা মাঠপাড়া এলাকার যুবক গৌর সাহা। বছর দুয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে সস্ত্রীক কাজে গিয়েছিলেন গৌর। কিন্তু বছরখানেকের মধ্যে তাঁর স্ত্রী সেখান থেকে ফিরে আসেন বাড়িতে। এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণী। তিনি ঘর ছাড়েন প্রেমিকের সঙ্গে। সেই বৌমাকে শায়েস্তা করতে মা এবং ছেলে মিলে তাঁকে ফাঁসাতে অভিনব পরিকল্পনা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক আগে ওই তরুণীর শাশুড়ি গীতারানি সাহা তিনি এবং তাঁর প্রেমিক-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ছেলে গৌর সাহাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গৌরের স্ত্রীকে। পুলিশের দাবি, ওই তরুণী বলেন, ‘‘আমার স্বামী মারা যাননি। কয়েক দিন আগেই আমার কথা হয়েছে।’’ এর পর পুলিশ গৌরের ফোন নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে তিনি নবদ্বীপে রয়েছেন। তার পর মঙ্গলবার রাতে নবদ্বীপ থেকে গৌরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার গৌরকে কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ নানা ধারায় মামলা করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।’’