নিহত লাকি হালদার। — নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের এক ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই তরুণীর নাম লাকি হালদার (২৩)। ঘটনাটি নদিয়ার হাঁসখালির বগুলা সাহাপুর এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবক বিপ্রজিৎ সরকারকে।
লাকির পরিবারের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে বগুলা হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা বিপ্রজিৎ লাকির গলায় ওড়না জড়িয়ে তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। লাকির দুই দাদা বিপ্রজিৎকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন বলেও দাবি। এর পর খবর দেওয়া হয় হাঁসখালি থানায়। পুলিশ লাকির গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রবিবার সন্ধ্যায় বিপ্রজিৎকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
লাকির মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে হালহার পরিবার। লাকির বাবা হরিপদ হালদার বলেন, ‘‘বিপ্রজিৎ মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু, আমার মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় ও প্রতিশোধ নিতেই খুন করেছে।’’ লাকির মা যশোদার কথায়, ‘‘রবিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ বিপ্রজিৎ আমাকে ফোন করে। ও জানতে চায়, আমরা কোথায় আছি। আমি জানাই যে, আমরা বগুলা বাজারে আছি। ওকে এ-ও বলি, লাকি বাড়িতে একা আছে। সেই সুযোগে ও ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে খুন করেছে।’’
ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিপ্রজিতের বাবা আনন্দ সরকার। তাঁর দাবি, ‘‘লাকির সঙ্গে বিপ্রজিতের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার ছেলে কেন ওকে খুন করতে যাবে?’’
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। এ নিয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’