সাঁইথিয়ার গ্রামে সংঘর্ষে জখম যুবক। তাঁকে উদ্ধার করছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। চলল দেদার বোমাবাজি। বোমা বিস্ফোরণে হাত এবং পা উড়ে গেল এক যুবকের। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও এক জন। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় সোমবার দুপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ওই এলাকা থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা।
সোমবার দুপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। অভিযোগ, এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সাদ্দামের ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে। তাঁকে আপাতত নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তবে পুলিশ মনে করছে, সাদ্দাম যে ভাবে আঘাত পেয়েছেন তাতে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হতে পারে। জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, ‘‘আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার (মণ্ডল)-এর লোকজন। ওরা আমাকে বোমা মেরেছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখান থেকে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় তাজা বোমা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কিছু দিন আগেই সিউড়ি থানার বাঁশজোড় গ্রামে খুন হন শেখ ফাইজুল নামে এক যুবক। বালিঘাটের দখলদারি নিয়ে বিবাদে ফাইজুলকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তৃণমূল নেতা কাজল শাহ-সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সময় বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। সেই সময় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জেলায় আরও পুলিশ বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেন। এর মধ্যেই আবার বীরভূমে যাচ্ছেন ফিরহাদ। আগামী ১৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানে থাকার কথা তাঁর। সে জন্য সোমবারই তিনি বোলপুর পৌঁছবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তার আগেই ঘটনা এই ঘটনা।