ধৃতকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সোনা উদ্ধারের পর লালগোলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
সোনা ভর্তি কন্ডোমের প্যাকেট মলদ্বারে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের এক যুবক। বুধবার মুর্শিদাবাদের লালগোলার অ্যাট্রসিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আব্দুস সামাদ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে সোনা পাচারের পরিকল্পনা বানচাল করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ধৃতকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সোনা উদ্ধারের পর লালগোলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বুধবার গোয়েন্দা সূত্র মারফত খবর আসে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাট্রসিয়া সীমা চৌকির ‘জিরো লাইন’ এলাকা দিয়ে কৃষকের ছদ্মবেশে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হতে পারে। সেই মতো ফাঁদ পাতে বিএসএফ। প্রচুর জওয়ান মোতায়েন করা হয় এলাকায়। বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ২টো নাগাদ একটি ট্র্যাক্টরের সন্দেহজনক গতিবিধি জওয়ানদের নজরে আসে। সেটিকে আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন বিএসএফ কর্তারা। চালকের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু হয় ট্র্যাক্টরে। সেই মেটাল ডিটেক্টরেই চালকের শরীরের ভিতর একটি জিনিসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর পরেই চালককে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শল্য চিকিৎসা বিভাগে চালকের এক্স রে-তে চক্ষু চড়কগাছ বিএসএফ কর্তাদের। চিকিৎসকেরা জানান, মলদ্বারে রাবারের আস্তরণে ধাতু লুকনো রয়েছে! এর পরেই চালকের মলদ্বার থেকে কন্ডোমে মোড়া ছ’টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকা বলে অনুমান। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়।
ধৃত চালক আব্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পেরেছে, সোনার বিস্কুটগুলি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নাগরিকের কাছ থেকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের জাকারিয়া আহমেদ নামে এক জনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তের সব রকম চোরাচালান রুখতে সদা তৎপর। এই সোনা উদ্ধার বড়সড় সাফল্য।’’