ফাউল করলেই লাল কার্ড, বলছেন দোলা

বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য়ের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেত্রী দোলা সেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০১:০২
Share:

জঙ্গিপুরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে দোলা। — নিজস্ব চিত্র

বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য়ের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেত্রী দোলা সেন।

Advertisement

বুধবার, দলের এক শ্রমিক সভায় যোগ দিতে রঘুনাথগঞ্জে এসে দোলা জানান, শ্রমিকদের মজুরি ১৬৯ টাকা করার জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশও করেছে তাঁদের সংগঠন।

সভায় তৃণমূলের দুই নেতা শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও সুতির প্রাক্তন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস হাজির ছিলেন, ঘটনাচক্রে যাঁরা দু’জনেই বিড়ি মালিক।

Advertisement

ইমানিই প্রথম বিড়ি শ্রমিকদের মজুরির প্রসঙ্গ তুলে মজুরি বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন। শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনের মাধ্যমে রাজ্যের বিড়ি শ্রমিকেরা দ্রুত সরকারি হারে ন্যুনতম মজুরি পাবেন। মজুরি নিয়ে ইমানির কথায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন জাকির। এরপরই বলতে উঠে তিনি বলেন, “বিড়ি শিল্পে সরকারি হারে মজুরি চালু হোক আমিও চাই। কিন্তু শিল্পকে রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকেরাই।”

এই প্রেক্ষিতেই এ দিন দোলা সেন বলেন, “শ্রমিক-মালিক দ্বিপাক্ষিক স্তরে বোঝাপড়া করে এত দিন শ্রমিকদের বঞ্চনা করা হয়েছে। ২০১০ সালের সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১৬৯ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা বিড়ি শ্রমিকদের। পাচ্ছেন ১২৬ টাকা। আমরা শ্রমমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে এব ছরের মধ্যেই ১৬৯ টাকা মজুরি চালু করতে হবে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক খুব শিগ্রি তা নিয়ে বৈঠক ডাকার আশ্বাস দিয়েছেন।”

তবে, এ দিন আরও একটা বার্তা শোনা গিয়েছে দোলার মুখে। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে আমাদের কারও চাকরি পাকা নয়। ফাউল হলেই যেকোনো মুহূর্তে দলনেত্রীর কাছে হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড দেখতে হতে পারে। তাই আমরা যতবড় নেতাই হই না কেন জানবেন সবসময় খুবই টেনসনে থাকি। এই আছি , আবার এই নেই। কখন যে বাদ চলে যাব তার ঠিক নেই।”

তিনি জানান, ২০১১ সালে আগে রাজ্যে সবাই ছিল সিপিএম, এখন দেখছি সবাই তৃণমূল। তাই নজরদারি বেড়েছে দলনেত্রীর। বলেন,। ‘‘শুনে রাখুন, কেউ দলনেত্রীর নজরদারির বাইরে নেই। দলের কেউ ইচ্ছে হল আর ঘর বানিয়ে ট্রেড ইউনিয়নের অফিস তৈরি করে চাঁদা তোলা শুরু করে দিলেন তা চলবে না।’’

তিনি জানান, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে জেলা সভাপতি ছাড়া কারও কোনো পদ নেই। তাই এলাকা ভিত্তিক একটা করে কমিটি গড়ে কেউ সভাপতি, কেউ সম্পাদক হয়ে প্যাড ছাপিয়ে দলের নাম ভাঙানো চলবে না বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement