বেশ কয়েক মাস ধরে জেএনএম হাসপাতালে হিমোফিলিয়ার ওষুধের জোগান নেই বলে অভিযোগ। শুক্রবার হিমোফিলিয়া রোগীদের তরফে হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রোগীরা জানান, কল্যাণী শহর ও তার আশপাশে প্রায় ২০ জন এমন রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা বেশ খারাপ। জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তারপর থেকেই হাসপাতালে গেলে বলা হয়, এখন ওষুধের জোগান নেই। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে কলকাতার হাসাপাতালে যাচ্ছেন।
রোগীদের অভিযোগ, এর ফলে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো হিমোফিলিয়ায় আক্রান্তদের বেশি দূর ঘোরাফেরা করা ঠিক নয়। কিন্তু তাঁরা বাধ্য হয়ে কলকাতায় যাচ্ছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানান, জিনঘটিত এই রোগে আক্রান্তদের রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয়। বাড়ির কাছেই চিকিৎসা হলে ভাল হয়। কিন্তু নানা কারণে ওষুধের জোগানই নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এক সময় ওষুধের জোগান ছিল। তখন কিছু ওষুধ স্বাস্থ্য দফতর পাঠিয়েছিল। আর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরাই ওই চিকিৎসা করতেন। কিন্তু আসলে হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো ওই হাসপাতালে নেই।
নিয়ম অনুযায়ী, হেমাটোলজি বিভাগেই চিকিৎসা হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে হেমাটোলজি-সহ কোনও সুপার স্পেশালিটি কোর্স করানো হয় না। ফলে সে সব বিভাগও নেই। রোগীর চিকিৎসার পর তাঁরা কেমন রয়েছেন, সে সব পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠোমোও নেই। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এত দিন রোগীদের ওষুধ দেওয়া হত। হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘হাসপাতালে যে বিভাগ নেই, সেই রোগের ওষুধ এখন স্বাস্থ্য দফতর দিতে চাইছে না। আর ঘণ্টা খানেক দূরেই তো কলকাতা। সেখানে গেলে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাবেন। তাই আমরা অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে হিমোফিলিয়ার ওষুধ রাখছি না।’’