Pond Filling at Nabadwip

অভিযোগই সার, নাম নেই তদন্তের

নিয়ম অনুযায়ী জলাভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবে মৎস্য দফতর। নবদ্বীপ থানা থেকে পাওয়া অভিযোগ তিনি মৎস্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ  শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৫
Share:

ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র।

দলে এবং সরকারি দফতরে ‘ঘুঘুর বাসা’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে যে খুব একটা কাজ হচ্ছে, তেমন প্রমাণ মিলছে না।

Advertisement

নবদ্বীপে পুকুর বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পেয়েও তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে দুই দফতরের দড়ি টানাটানি চলছে। আবার, পুকুর বোজানোর নালিশ করায় যে পুরকর্মী অভিযোগকারীকে ফোন করে ‘হুমকি’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

দিন কয়েক আগে নবদ্বীপের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আদালতের সামনে পুকুর ভরাটের অভিযোগ জানানোয় পুরসভা থেকে তাঁকে ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির নবদ্বীপ দক্ষিণ মণ্ডলের ইনচার্জ আনন্দ দাস। নবদ্বীপ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক নবীন গৌতম জানান, নিয়ম অনুযায়ী জলাভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবে মৎস্য দফতর। নবদ্বীপ থানা থেকে পাওয়া অভিযোগ তিনি মৎস্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

অথচ বৃহস্পতিবার নদিয়া সহকারী মৎস্য অধিকর্তা (এডিএফ) দেবাশিস পালুই বলেন, “পুকুর বা জলাশয় ভরাট সংক্রান্ত বিষয়গুলি ২০১৭ সালের আগে আমাদের দফতর দেখভাল করত। তার পর আইন বদল হয়েছে। এখন আর আমাদের হাতে নেই।” নবীন গৌতম পাল্টা বলেন, “মৎস্য দফতর লিখিত ভাবে বিষয়টি আমাদের জানাচ্ছে না কেন? তদন্ত করার জন্য আমরা একের পর এক চিঠি দিচ্ছি। সেই চিঠির জবাব না দিয়ে ওঁরা চুপ করে থাকছেন কেন?”

পুকুর ভরাটের অভিযোগ করায় তাঁকে সরাসরি পুরসভা থেকে ফোন করে ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আনন্দ দাস। যে নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন গিয়েছিল বলে তিনি থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, সেটি নবদ্বীপ পুরসভার পূর্ত বিভাগের কর্মী রামদুলাল সর্দারের। এ দিন রামদুলাল অবশ্য বলেন, “আমি হুমকি দিতে যাব কেন? বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল। আমি কর্তব্য হিসাবে ওঁর বক্তব্য জানতে চেয়েছিলাম।”

আনন্দের ফোনে ওই কথোপকথনের যে ‘ভয়েস রেকর্ড’ প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি), অনেকের মতেই তাতে ও-প্রান্ত থেকে ধমকের সুর স্পষ্ট ছিল। তবে রামদুলালের দাবি, “আমি প্রশ্ন করি, ওঁর বাড়ি এই এলাকায় কি না। উনি পাল্টা তর্ক করেন। তখন ফোন কেটে দিই।” পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহারও দাবি, “পুরসভার প্রয়োজনেই উনি ফোন করেছিলেন। অভিযোগ করবেন অথচ সেই বিষয়ে জানতে গেলে বলবেন, হুমকি দিচ্ছে?”

নবদ্বীপ থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, রামদুলালের সঙ্গে ফোনে কথা হলেও মোবাইল সংস্থা থেকে নম্বরটি যাচাই না-হওয়ায় তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement