ইলিশের আকালে বাজার চড়া মুরগির

মৎস্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ইলিশের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

ইলিশের দেখা নেই। কচ্চিৎ যে দু’চারটের দেখা মিলছে বাজারে, তাদের দাম বেশ চড়া। ফলে শুরু হয়েছে ইলিশের জন্য হাপিত্যেশ আর চাহিদা বাড়ছে পোলট্রির মুরগির।

Advertisement

মৎস্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ইলিশের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলিতে এই সময় পর্যাপ্ত ইলিশের যোগান থাকে। ফলে দামও সাধারণের ক্ষমতার নাগালে চলে আসে। আর তার প্রভাব পড়ে মুরগির ব্যবসায়। কারণ, সারা বছর ধরে পোলট্রির মুরগির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা বাঙালী ইলিশ দিয়ে এই সময়টা মুখ বদল করে থাকেন। মুরগি ছেড়ে তাঁরা যেন হামলে পড়েন ইলিশের দোকানে। কিন্তু এবার সে ছবি কোথায়?

দিঘা, কোলাঘাট, ডায়মন্ড হারবারে দেখা মিলছে না ইলিশের। সেই একই কারণে জেলার বাজারগুলোতেও হাতে গোনা কয়েকটা ইলিশ নিয়ে মাছি তাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। বাঙালীও ভগ্ন হৃদয়ে গুটি গুটি পায়ে হাজির হচ্ছেন মুরগির দোকানের সামনে। কৃষ্ণনগর শহরের এক পোলট্রি মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, “অন্য বার এই সময় বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের যোগান থাকে। এ সময় লোকে তেমন মাংসের দোকানে ভিড় জমায় না। এই ক’টা দিন সব আমাদের ব্যবসায় টান পড়ত।’’ মুরগি ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, চাহিদা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এ সময় দাম কমে যেত মুরগির। কারণ তখন যোগানের থেকে চাহিদা কমে যেত।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা জানান, এই মুহূর্তে পোলট্রি মুরগির দাম কিলোগ্রাম প্রতি দেড়শো টাকা। গত বছরও এ সময় দামটা কমে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। কৃষ্ণনগর শহরের পাত্র বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রেবা শেখ বলেন, ‘‘বাজারে ইলিশ উঠলেই আমাদের ব্যবসায় টান পড়ে যায়। খদ্দের কমে যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দাম কমিয়ে দিতে হয়।” এবার এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। ফলে বিক্রি যেমন কমেনি, তোমনই দামও কমেনি। যা শুনে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা মিলন সরকার বলেন, “ইলিশের স্বাদ কি মুরগিতে মেটে! বুঝলেন দাদা, মনটা কেমন জানি ইলিশ ইলিশ করছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement