দিন কয়েক ধরেই এলাকায় একটি পশুকে ঘোরাঘুরি করতে দেখছেন শান্তিপুরের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। সাধারণত রাতের দিকে চাষের জমিতে মূলত তাকে দেখা যাচ্ছে বলে খবর। বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিয়ো দেখে প্রাণীটি নীলগাই হতে পারে বলে অনুমান বন দফতরের। এই নিরীহ পশুকে উত্ত্যক্ত বা আঘাত করা হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
দিন কয়েক ধরে শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া, হরিপুর পঞ্চায়েতের কিছু জায়গায় একটি ‘অচেনা প্রাণী’ দেখে কৌতূহলী হন স্থানীয় মানুষজন। মূলত রাতের দিকে এবং ভোরে তাকে দেখা যাচ্ছে। আকারে গবাদি পশুর মতো। বিভিন্ন জঙ্গলে এবং ঝোপঝাড়ে অনেকে সেটিকে দেখেছেন। তবে সব সময়ে সেটিকে দেখা যাচ্ছে না। কোথায় তা আশ্রয় নিয়েছে তা-ও জানা যায়নি। উৎসাহী কেউ কেউ তার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলেছেন। বন দফতরেও তা জানানো হয়েছে।
সেই ছবি দেখেই বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি নীলগাই হতে পারে যা এই রাজ্যে খুব বেশি দেখা না গেলেও বিহার বা উত্তরপ্রদেশে প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায়। বছর কয়েক আগে নদিয়াতেই একটি নীলগাই উদ্ধার করে বন দফতর। বর্তমানে সেটি বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে রাখা আছে। তৃণভোজী এই প্রাণী ভীরু এবং নিরীহ প্রকৃতির। নদিয়া মুর্শিদাবাদের বিভাগীয় বনাধিকারিক প্রদীপ বাউরি বলেন, “নীলগাই নিরীহ প্রাণী। কারও ক্ষতি করে না। ওকে ওর মতো থাকতে দেওয়াই ভাল। সেটিকে আঘাত করলে বন্যপ্রাণী আইনে নির্দিষ্ট আইনানুগ ব্যবস্থার বিধান রয়েছে।”